সুন্দর ত্বক (Beautiful Skin) পেতে কে না চায়! তবে সুন্দর ত্বক পেতে গেলে নিয়মিত ত্বকের যত্ন (Skin Care) নেওয়াটা ভীষণ জরুরি। আজকালকার সদাব্যস্ত জীবনে অনেকেই ত্বকের খেয়াল রাখতে পার্লারের ওপর আস্থা রাখেন। মোটা টাকা খরচ করে নানান রকম ট্রিটমেন্ট করান, দামি দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। তবে অনেকেই জানেন না, ত্বকের খেয়াল রাখতে সর্ষের তেল (Mustard Oil) কিন্তু ভীষণ কাজে আসে।
সর্ষের তেল বলতেই আমরা এটিকে সাধারণত রান্নার উপকরণ হিসেবেই দেখি। তবে রান্নার পাশাপাশি গায়ে, চুলেও অনেকে সর্ষের তেল মাখেন। খাদ্য গুণের পাশাপাশি এই তেল কিন্তু ত্বকের যত্ন নিতেও এক্সপার্ট। সেই জন্য অনেকেই রূপচর্চার ক্ষেত্রেও সর্ষের তেলের ওপর আস্থা রাখেন। একটুখানি সর্ষের তেলই ত্বকের কতটা উন্নতি করতে পারে তা হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না আপনি।
আমাদের ত্বকে চাইলেই আমরা সর্ষের তেল ব্যবহার করতে পারি, তবে সেই তেল কিন্তু একেবারে খাঁটি হতে হবে। কারণ ভেজাল মেশানো তেল মাখলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ত্বকের নানান রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই কারণ সবসময় কাচ্চি ঘানিতে ভাঙানো সর্ষের তেল ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই আর কোনও ভয় থাকবে না।
সর্ষের তেলের যেমন খাদ্যগুণ প্রচুর, তেমনই এটি ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স এবং ই’য়ে সমৃদ্ধ। এতে ত্বকের প্রচুর সমস্যা দূর হয়। পাশাপাশি এই উপাদানগুলি ত্বক থেকে বয়সের ছাপ, বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে। এর ফলে সবসময় ত্বক সতেজ থাকে।
শুধু তাই নয়, সর্ষের তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপদানও থাকে। সেই কারণে নিয়মিত এই তেল মাখলে ঘামাচি কিংবা চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষাকালে সর্ষের তেল মাখলে ঘামাচি, চুলকানির মতো সমস্যাগুলি দেখা দেয় না।
এছাড়া সান ট্যান, সান বার্ন তোলার কাজেও সর্ষের তেল ব্যবহৃত হয়। সেই জন্য সর্ষের তেল, দই, বেসন এবং লেবু মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলেই দেখবেন ত্বক থেকে দাগছোপ দূর হয়েছে। সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলেই ফল দেখতে পাবেন। এছাড়া সর্ষের তেলের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে মাখলে ত্বক মসৃণ এবং নরম থাকে।