১৯৬০ সাল নাগাদ মুক্তি পেয়েছিল নিমাই ভট্টাচার্যের কালজয়ী উপন্যাস (Novel) ‘মেমসাহেব’ (Mem Saheb)। মুক্তির পরেই তা আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পায়। এক দশকের মধ্যে এই উপন্যাস ভিত্তি করে টলিউডে সিনেমা তৈরি হয়। ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) এক কালজয়ী ছবি ‘মেমসাহেব’। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ‘মহানায়ক’ উত্তম কুমার (Uttam Kumar) এবং অপর্ণা সেন (Aparna Sen)।
উত্তম-অপর্ণা জুটির এই সিনেমা বক্স অফিসে দারুণ হিট হয়েছিল। সিনেপ্রেমী মানুষদের দারুণ পছন্দ হয়েছিল এই ছবি। আজ ‘মেমসাহেব’ রিলিজের প্রায় ৫১ বছর পরেও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে এই কালজয়ী ছবি। উত্তম-অপর্ণার তুখোড় অভিনয় আজও ভুলতে পারেননি তাঁরা। এবার টলিউডের এই আইকনিক সিনেমাই একেবারে নতুন রূপে বড়পর্দায় ফিরতে চলেছে।
সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক গোয়েন্দামূলক উপন্যাস অবলম্বনে টলিউডে সিনেমা তৈরি হয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ফেলুদা, ব্যোমকেশ, মিতিন মাসির মতো ছবির। কিন্তু এবার আর গোয়েন্দা গল্প নয়। বরং পর্দায় ফিরতে চলেছে নিখাদ ভালোবাসার গল্প ‘মেমসাহেব’।
পরিচালক উজ্জ্বল বসু (Ujjwal Basu) নিমাই ভট্টাচার্যের কালজয়ী উপন্যাস নিয়ে কাজ শুরু করতে চলেছেন। এর আগে তিনি ক্রাউড ফান্ডিং করে ‘দুধপিঠের গাছ’ নামে একটি সিনেমা তৈরি করেছিলেন। এবার ‘মেমসাহেব’র হাত ধরে পুরোদস্তুর বড়পর্দার জন্য সিনেমা বানাতে চলেছেন তিনি।
কিন্তু এত বছর পর হঠাত ‘মেমসাহেব’ নিয়ে কেন কাজ শুরু করতে চাইছেন উজ্জ্বল? জবাবে এক নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে পরিচালক বলেন, ‘আমার কাছে এই গল্পটা রোমিও জুলিয়েটের মতো। ‘মেমসাহেব’ নিখাদ প্রেমের এক গল্প, আর প্রেমের কাহিনী তো সব সময়ই চিররঙিন। তা কখনও পুরনো হয় না। তবে এটা উত্তম কুমার, অপর্ণা সেনের ছবির রিমেক কিন্তু নয়। আমি মূল গল্প থেকেই আমার সিনেমা বানাব’।
উজ্জ্বল জানিয়েছেন, ‘মেমসাহেব’র গল্পকে তিনি বর্তমান প্রেক্ষাপটের আদলে সাজাবেন। ইতিমধ্যেই প্রকাশকের কাছ থেকে কাহিনীর স্বত্ব তিনি কিনে ফেলেছেন। এখন চিত্রনাট্যের কাজ করছেন। উজ্জ্বলের ‘মেমসাহেব’এ উত্তম-অপর্ণার জায়গা কে নেবে তা এখনও জানা যায়নি।