কলকাতার (Kolkata) এই গরম (Summer) থেকে বাঁচতে এখন অধিকাংশ মানুষই সমুদ্রে ডুব দিতে দীঘা (Digha) ছুটে যাচ্ছেন। মেদিনীপুরের এই সমুদ্র সৈকতে (Beach) এখন উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়। তবে এমনও অনেকে রয়েছেন যারা এই ভিড়ের জন্য দীঘায় যেতে চাইছেন না। বরং কোনও শান্ত-নিরিবিলি সমুদ্র সৈকতের খোঁজ করছেন। আপনিও যদি সেই খোঁজে থাকেন তাহলে এই প্রতিবেদনটি কিন্তু আপনার কাজে আসতে পারে।
দীঘা-পুরীর (Puri) মতো জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলিতে এখন হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেছেন। এত মানুষের ভিড়ে অনেকেরই দম বন্ধ অনুভব হয়। সেই জন্য আজকের প্রতিবেদনে কলকাতার কাছাকাছি শান্ত-নিরিবিলি লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকতের (Lalgunj Beach) খোঁজ দেওয়া হল, যেখানে একবার গেলে আপনার শরীর-মন দুই-ই জুড়িয়ে যাবে।
লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় অনেকটাই কম। এখানে গেলে একান্তে কয়েকটা দিন কাটাতে পারবেন আপনি। পাশাপাশি গরমের তীব্রতা থেকেও বাঁচতে পারবেন। বিকেল হলে গরম গরম মাছ ভাজার সঙ্গে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা সমুদ্রের হাওয়াও খেতে পারবেন।
জানিয়ে রাখি, কলকাতা থেকে এই লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকত মাত্র ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নিজের গাড়ি থাকলে আপনি খুব সহজেই এখানে পৌঁছে যেতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি চান তাহলে ট্রেনে করেও যেতে পারেন।
আপনি যদি ট্রেনে করে যান তাহলে শিয়ালদহ থেকে নামখানার ট্রেনে উঠে পড়তে হবে। হাতানিয়া-দোয়ানিয়া পেরিয়ে পৌঁছতে হবে লালগঞ্জ। আপনাকে ট্রেন থেকে নামখানা স্টেশনে নামতে হবে। এরপর সেখান থেকে টোটো কিংবা অটো ধরে গন্তব্য স্থলে পৌঁছে যেতে হবে।
লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকত বকখালির খুব কাছে অবস্থিত। এখানে থাকার জন্য ক্যাম্পের সুব্যবস্থা রয়েছে। এই ক্যাম্পগুলো থেকে সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্য আপনি দেখতে পাবেন। থাকার খরচও সাধ্যের মধ্যেই। এই ক্যাম্পগুলির ভাড়া ১৩০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। তাই আর দেরি কীসের! সপ্তাহান্তের ছুটিতে চাইলে ঘুরে আসতেই পারেন লালগঞ্জ বিচ থেকে।