রূপচর্চার (Skin Care) ক্ষেত্রে এখন এসেনশিয়াল অয়েলের (Essential Oil) ব্যবহার অনেকেই করে থাকেন। যত দিন যাচ্ছে বিউটির দুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা বাড়তে এই তেলের। প্রাকৃতিক উপাদান থেকে পাওয়া এই তেলের একাধিক গুণ রয়েছে, যাতে দূর হয় ত্বকের (Skin) নানান সমস্যা। জেল্লা ফেরানো থেকে বলিরেখা দূর করা- এই এসেনশিয়াল অয়েলের থাকেন একাধিক গুণ। আজকের প্রতিবেদনে এমনই ৩ তেলের নাম তুলে ধরা হল যা ত্বকের জন্য প্রচণ্ড উপকারী।
স্যান্ডালউড এসেনশিয়াল অয়েল (Sandalwood Essential Oil)- এই তেলে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপদান রয়েছে। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাতে ভীষণ কার্যকর। আয়ুর্বেদিক হিলিং প্র্যাক্টিসে এই স্যান্ডালউড এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহৃত হয়।
শুধু তাই নয়, এই তেল অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধেও কাজে আসে। পাশাপাশি অ্যান্টি-এজিং গুণ রয়েছে চন্দনের মধ্যে। বয়সের ছাপ কমানোয় স্যান্ডালউড এসেনশিয়াল অয়েলের জুড়ি মেলা সত্যিই ভার।
রোজ এসেনশিয়াল অয়েল (Rose Essential Oil)- গোলাপের পাঁপড়ির নির্যাস থেকে এই রোজ এসেনশিয়াল অয়েল তৈরি হয়। এই তেলের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণ রয়েছে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, ত্বকের জেল্লা, লাবণ্য এবং তারুণ্য ধরে রাখতে এই রোজ এসেনশিয়াল অয়েল ভীষণ কাজে আসে।
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল (Lavender Essential Oil)- রোজ এসেনশিয়াল অয়েল যেমন গোলাপের পাঁপড়ির নির্যাস থেকে তৈরি হয়, তেমনই ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল তৈরি হয় ল্যাভেন্ডার ফুলের নির্যাস থেকে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ত্বকের যত্নে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল প্রচণ্ড কাজে আসে। এটি ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে দেয়। যা কিনা যে কোনও ফাঙ্গাল এবং ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টও থাকে। যা ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে এবং বলিরেখা সহ বয়সের ছাপ দূর করতে কাজে আসে।