হরেকরকম বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) ভীড়ে বরাবরই দর্শকমহলে দারুন চর্চিত একটি সিরিয়াল হয়ে উঠেছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নীম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। এই সিরিয়ালের নায়ক-নায়িকা সৃজন-পর্ণা (Srijan-Parna) চরিত্রের হাত ধরেই টেলিভিশনের পর্দায় প্রতিনিয়ত তুলে ধরা হচ্ছে একেবারে বাস্তব জীবনের ছবি। পারিবারিক অশান্তি আর শ্বাশুড়ি-বৌমার মধ্যে তৈরী হওয়া ভুল বোঝাবুঝি এখন বাংলার প্রত্যেক ঘরের ভীষণ পরিচিত ছবি।
সিরিয়ালটির নিয়মিত দর্শকরা জানেন শুরু থেকেই এই ধারাবাহিকে বিনোদনের মোড়কে তুলে ধরা হয়েছে বাস্তব জীবনের ছবি। বাঙালি পরিবারের অন্দরমহলের ছবই এই সিরিয়ালের অন্যতম প্রধান বিষয় বস্তু। অন্যান্য সব সিরিয়াল যখন সাংসারিক কুটকচালি মুক্ত বিষয়বস্তুকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তখন একপ্রকার ঝুঁকি নিয়েই এই সিরিয়ালটি বেছে নিয়েছেন পারিবারিক অশান্তিকে।
এই সিরিয়ালের নির্মাতারা বিশ্বাস করেন শুধু ভালো দিকটাই নয় খারাপ দিকটা মানুষের সামনে মেলে ধরা প্রয়োজন। তাই সাংসারিক জীবনের খারাপ দিকটাও অত্যন্ত বাস্তবসম্মতভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই ধারাবাহিকে। কিছুদিন আগেই এই সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে সোনার গণেশ মূর্তি নিজে থেকে এসে পর্ণার হাতে তুলে দিয়ে গিয়েছিলেন ওই মূর্তির আসল দাবিদার।
এরপর দেখা গিয়েছে সৃজন তার বউ পর্ণাকে নমিনি করায় একেবারে রেগে লাল হয়ে গিয়েছে বাবুর মা। তাই তিনি সৃজনকে আর ‘বাবুউউ’ বলে না ডেকে সৃজন বলে ডাকতে শুরু করেছিলেন। তখনই শাশুড়িকে টাইট দিতে এক নতুন ফন্দি আঁটে পর্ণা। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল কিভাৱে বাঁকাতে হয় সেকথা খুব ভালোই জানে দত্ত বাড়ির বউ।
তাই এবার নকল পুলিশ সাজিয়ে শাশুড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে এসেছে সে। তাই বাবুর মা যখন দত্তবাড়ি থেকে পর্ণাকে তাড়ানোর প্ল্যান করছিলঠিক তখনই তার বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে হাজির হয় পর্ণা। চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে চোখ একেবারে কপালে উঠে গিয়েছে বাবুর মায়ের। এই পর্ব দেখে বেজায় খুশি হয়েছেন দর্শক।