চুল (Hair) এমন একটি জিনিস যা যে কোনও মানুষের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এক রাশ ঘন কালো চুলের স্বপ্ন কে না দেখে! তবে এখনকার দূষণ, স্ট্রেস ভরা এই জীবনে ঘন কালো লম্বা চুল (Hair Growth) পাওয়া যেন অলীক স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাজার ট্রিটমেন্ট করেও চুল ওঠার সমস্যা (Hair Problem) আটকানো যাচ্ছে না। সেই জন্য আজকের প্রতিবেদনে এমন একটি ঘরোয়া উপাদানের নাম তুলে ধরা হল যা চুলের যত্নে রীতিমতো ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
মা-ঠাকুমাদের মুখে আমরা অনেকেই শুনেছি, চুলের যত্নে তাঁরা রিঠা (Reetha) ব্যবহার করতেন। এখন শ্যাম্পু-কন্ডিশনারের যুগে রিঠার তার আগের কদর হারিয়েছে। কিন্তু রিঠার গুণাগুণ কিন্তু আজও একই রয়েছে। চুল বৃদ্ধি করতে, খুশকির সমস্যা দূর করতে কিংবা চুল স্বাস্থ্যকর করতে আজও এর জুড়ি মেলা ভার।
রিঠায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, এগুলি চুলের প্রচুর সমস্যা দূর করতে কাজে আসে। শুনলে হয়তো অবাক হবেন, রিঠা ব্যবহার করলেও পাকা চুলের সমস্যাও কিন্তু দূর হয়। আপনি চাইলে, কোনও শ্যাম্পু ছাড়া শুধুমাত্র রিঠা দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে পারেন।
রিঠা দিয়ে চুল ধুতে চাইলে আগের দিন রাতে একমুঠো রিঠা উষ্ণ গরম জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সকালে উঠে তা হাত দিয়ে ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে। রিঠা সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর এটি পেস্ট করে নিতে পারেন আপনি। এরপর এর বীজগুলি বের করে নিয়ে শ্যাম্পুর মতো করে ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে ভেজা চুল এবং চুলের গোড়ায় এই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেললেই চুল পরিষ্কার হয়ে যাবে।
চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করতেও রিঠা কাজে আসে। সেই জন্য আমলা, শিকাকাই এবং অর্ধেক পরিমাণ রিঠা মিশিয়ে গরম জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সকালে এই তিন উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে নিতে হবে। এরপর এটি চুলে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতি সপ্তাহে ব্যবহার করলে নিজের চোখে ফলাফল দেখতে পাবেন।
এছাড়া চুলের আরও বহু সমস্যা দূর করার জন্য আপনি রিঠা, আমলা, শিকাকাই গুঁড়ো এবং তাতে কিছু পরিমাণ জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন। এরপর শুকনো জবা পাতা পিষে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ রাতে ঢেকে রেখে পরেরদিন সকালে ভালো করে চুলে লাগিয়ে নিন। নিয়মিত যদি এই মিশ্রণ চুলে ব্যবহার করেন তাহলে ফলাফল দেখতে পাবেন।
বি দ্রঃ- এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।