বাংলার স্ট্রিটফুডের (Street Food) তালিকা যদি তৈরি করা হয়, তাহলে সেখানে অবশ্যই স্থান করে নেবে ঝালমুড়ি (Jhalmuri)। মুড়ি, বাদাম, চানাচুর, শশা, পেঁয়াজ, ছোলা, বাদামের সঙ্গে তেল, লেবুর রস আর নানান রকম মশলা- ঝালমুড়ির নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে যে কারোর। এবার বাংলার এই সুস্বাদু খাবারেই মজেছে সুদূর লন্ডনবাসী।
কলকাতার (Kolkata) রাস্তায় কিংবা লোকাল ট্রেনে ঝালমুড়ি বিক্রেতাদের দেখতে পাওয়াটা খুব সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু এবার সেই খাবারই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশ পৌঁছে গিয়েছে। কলকাতা নয়, এখন লন্ডনে (London) দেদার বিক্রি হচ্ছে বাঙালির এই প্রিয় খাবার। এখন বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়েই পাওয়া যাচ্ছে বাংলার স্বাদ। সৌজন্যে রয়েছে এক ইংরেজ ফেরিওয়ালা।
খাওয়াদাওয়ার দিক থেকে বাঙালি র জুড়ি মেলা ভার। গোটা বিশ্বে বাঙালির খাবারের সুখ্যাতি রয়েছে। এবার বাঙালির প্রিয় ঝালমুড়ি পাড়ি দিয়ে দিল বিদেশে। গত কয়েক বছর ধরে সেখানে ঝালমুড়ি বিক্রি হচ্ছে। আর সেই ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন ৬৩ বছরের আঙ্গাস ডেনুন (Angus Denoon)। দোকানের নাম রেখেছেন ‘ঝালমুড়ি এক্সপ্রেস’ (Jhalmuri Express)।
ইংরেজ মানেই তাঁর পছন্দের খাবারের তালিকায় পিৎজা, বার্গার কিংবা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই থাকবে- সাধারণত এমনটাই দেখা যায়। তাহলে আঙ্গাস কী করে ঝালমুড়ির প্রেমে পড়লেন? জানা গিয়েছে, ২০০৪ সাল নাগাদ তিলোত্তমায় এসেছিলেন তিনি। এখানে এসে এখানকার স্ট্রিট ফুড চেখে দেখেন। একবার খেয়েই বাংলার স্ট্রিট ফুডের প্রেমে পড়ে যান তিনি।
এরপর লন্ডন ফিরে ঝালমুড়ির ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবেন আঙ্গাস। সেখানে গিয়ে যাবতীয় জিনিসপত্র জোগাড় করে ঝালমুড়ির স্টল দিয়ে দেন তিনি। এখন সেখানকার নানান অলিগলিতে নিজের ‘ঝালমুড়ি এক্সপ্রেস’ স্টল নিয়ে ঘোরেন তিনি।
জানা গিয়েছে, প্রথম দিন থেকেই ঝালমুড়ির স্বাদ ভালোলেগে গিয়েছিল লন্ডনবাসীর। যত সময় গিয়েছে ততই রমরমিয়ে চলেছে আঙ্গাসের দোকানে। তবে তাঁর দোকানের কোনও নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই, রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন আঙ্গাস। সেই সঙ্গে তাঁর দোকানে পাওয়া যায় ভেলপুরি এবং নানান রকমের চাটও। শুনলে অবাক হবেন, সাহেবদের বিয়েতেও আঙ্গাসের ঝালমুড়ির দোকানের স্টল বসে। সব মিলিয়ে, কলকাতার ঝালমুড়ি যে লন্ডনে গিয়ে সুপারহিট হয়ে গিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।