বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) জগতের প্রথমসারির অভিনেত্রীদের নামের তালিকায় ওপরের দিকেই থাকবে সৌমিতৃষা কুণ্ডুর (Soumitrisha Kundu) নাম। জি বাংলার ‘মিঠাই’ (Mithai) ধারাবাহিকে অভিনয় করে বাংলার প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। প্রায় আড়াই বছর ধরে দর্শকদের বিনোদনের রসদ জোগানোর পর চলতি মাসে শেষ হয়েছে ‘মিঠাই’র পথচলা।
ধারাবাহিক শেষ হলেও সৌমিতৃষা কিন্তু ফাঁকা বসে নেই। ছোটপর্দা কাঁপানোর পর এবার বড়পর্দায় ডেবিউ করতে চলেছেন তিনি। টলি সুপারস্টার দেবের হাত ধরে সিনেদুনিয়ায় পা রাখতে চলেছেন সৌমিতৃষা। ছবির নাম ‘প্রধান’। এত ব্যস্ততার মাঝেই সম্প্রতি এক নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে নিজের কর্মজীবন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন সব কিছু নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি।
পর্দার মিঠাইরানী বারাসাতের মেয়ে। সেখানকার একটি স্কুল থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন তিনি। এরপর কলকাতার একটি কলেজে ভর্তি হন সৌমিতৃষা। কিন্তু কাজ এবং পড়াশোনার চাপ দু’টো একসঙ্গে সামলাতে পারছিলেন না তিনি। সেই জন্য বাধ্য হয়ে কলেজ ছেড়ে দেন তিনি। এরপর ফের ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশানাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি অনার্স সম্পূর্ণ করেন সৌমিতৃষা।
সাক্ষাৎকারে ‘মিঠাই’ নায়িকা জানান, কীভাবে অভিনয় জগতে প্রথম কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সৌমিতৃষা বলেন, ‘আমি কলকাতায় নাচ শিখতাম। সেখানে মায়ের একজন বন্ধু মাকে বলেছিলেন, একটা সিরিয়াল আসছে, তোর মেয়ে কি করবে?’ অভিনেত্রী জানান, এই প্রস্তাবে তাঁর মায়ের মত থাকলেও তাঁর মত ছিল না। কারণ তিনি অডিশনের কথা ভেবেই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন।
যদিও সৌমিতৃষার মায়ের বন্ধু জানান, তাঁকে অডিশন দিতে হবে না। ছবি দেখেই তাঁকে পছন্দ করে ফেলেছেন নির্মাতারা। প্রথম সিরিয়ালে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সৌমিতৃষা। এরপর আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে। সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, অভিনয় ছাড়া নাচ এবং এবং আঁকতে খুব পছন্দ করেন তিনি। এছাড়া মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটানো এবং পুজো করতেও ভীষণ ভালোলাগে তাঁর।
দর্শকদের প্রিয় মিঠাইরানী জানান, পুজো তাঁর একটা ভালোলাগার জায়গা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘যখন ‘মিঠাই’ করতাম, তখন ওখানে আমার মেক আপ রুমের একটি টেবিলে ঠাকুর রাখতাম। সেখানে কাউকে খাবার খেতে দিতাম না। মাছ-মাংস একেবারেই না। মহালয়ার দিন আমি ওখানেই গণেশ পুজো করেছিলাম। ব্যক্তিগত জীবনে আমি শ্রীকৃষ্ণের খুব বড় ভক্ত। তবে ‘মিঠাই’ করার পর শ্রীকৃষ্ণের প্রতিও টান তৈরি হয়েছে। বাড়ি এসে পুজো দেওয়ার সময় পেতাম না। সেই জন্য সেটেই করতাম। এটা আমায় অদ্ভুত একটা শান্তি দেয়’।