বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম একজন অভিনেত্রী হলেন খেয়ালি দস্তিদার (Kheyali Dastidar)। সিনেমা থেকে সিরিয়াল কিংবা থিয়েটার বিনোদনের সমস্ত মাধ্যমেই দাপটের সাথে অভিনয় করে চলেছেন তিনি। এই মুহূর্তে তাঁকে দেখা যাচ্ছে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘তোমার খোলা হাওয়া’তে (Tomar Khola Hawa) ছায়া নামের দারুন পজিটিভ আর আধুনিক একজন শাশুড়ির চরিত্রে।
জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর অভিনয় জীবনের শুরুটা হয়েছিল বাংলা সিরিয়ালের অন্যতম স্তম্ভ বলে পরিচিত জোছন দস্তিদারের ‘তেরো পার্বণ’ ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। এরপর থেকে একাধিক সিরিয়াল থেকে সিনেমাতে দেখা গিয়েছে তাকে। নিজের সুনিপুণ অভিনয়ে বারেবারে মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের।
সেই থেকে আজও দাপটের সাথেই তিনি অভিনয় করে চলেছেন ভিন্ন স্বাদের সব চরিত্রে। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে এই অভিনেত্রীর অভিনয়ের ঝুলি সমৃদ্ধ হয়েছে পজিটিভ নেগেটিভ উভয় ধরণের চরিত্রেই।ব্যক্তিজীবনে যতই ওঠাপড়া আসুক না কেন অভিনেত্রীর ঠোঁটের কোণায় সারাক্ষণ লেগে রয়েছে অমলিন হাসি।
প্রসঙ্গত টেলিভিশনের পর্দায় খোলা হাওয়া সিরিয়ালে তার প্রিয় বৌমা ঝিলমিল। পর্দায় তাঁর চরিত্র দেখে অনেকেই তাঁকে জানিয়েছেন বাস্তবে তাঁদেরও যদি এমন একজন মা থাকতেন তাহলে খুব ভালো হতো। সম্প্রতি টলিউড ফোকাস কলকাতা নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের সাথে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন খোলা হওয়াতে বহুদিন পর এমন পজিটিভ চরিত্র করতে পেরে তিনি বেজায় খুশি।
প্রসঙ্গত এদিনের সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন তিনি খুব চেষ্টা করেও কোনোদিন সেভাবে আদর্শ গৃহবধূ হতে পারেননি। রান্নাতেও সেভাবে পটু নন বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে রসিকতা করেই একবার তাঁর ছেলে আদিত্য তাঁকে বলেছিলেন সবাই তাঁদের মা মারা গেলে বলতে পারে তার মা এই রান্নাটা খুব ভালো করতেন।
কিন্তু তিনি এমন কিছু বলতে পারবেন না কারণ তাঁর মা তো তেমন কোনো রান্নাই পারে না। সেই সময় অভিনেত্রী ছেলেকে বুঝিয়ে বলেছিলেন কজনের মা লিখতে পারেন। অর্থাৎ বাকি মায়েরা যখন খুঁটি ধরেছেন খেয়ালি তখন এগিয়ে গিয়েছেন নিজের কলমের জোরে। এছাড়া এদিন অভিনেত্রীকে কথা বলতে শোনা যায় সোশ্যাল এবং মোবাইল ফোনের বিভিন্ন ক্ষতিকারক দিক নিয়েও।