‘মহাভারত’র (Mahabharat) শকুনি চরিত্রে অভিনয় করে সারা দেসগে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেতা গুফি পেন্টাল (Gufi Paintal)। নিজের তুখোড় অভিনয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। সেই গুফিই দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন অভিনেতা। লাগাতার প্রার্থনা করছিলেন গুফির পরিবারের সদস্য এবং অনুরাগীরা। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে প্রয়াত (Death) হলেন তিনি।
সপ্তাহের শুরুতেই আসে দুঃসংবাদ। সোমবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ‘মহাভারত’ খ্যাত এই অভিনেতা। গুফির পরিবারের তরফ থেকে এই দুঃসংবাদ দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
গত ৩১ মে থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ‘মহাভারত’র শকুনি (Shakuni) অভিনেতা। এরপর থেকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জীবনমৃত্যুর লড়াই লড়ছিলেন তিনি। অভিনেতার পুত্র হ্যারি পেন্টাল জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন ধরে তাঁর বাবার শরীর বেশ খারাপ হচ্ছে। শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হচ্ছে না দেখে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যদিও এরপর হ্যারি জানান, তাঁর বাবার অবস্থা স্থিতিশীল। সুস্থতার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে তাঁর মধ্যে। সকলের কাছে হ্যারি আর্জি করেছিলেন, তাঁর বাবার জন্য প্রার্থনা করার। কিন্তু অনুরাগীরাও অভিনেতার আরোগ্য কামনা করছিলেন। কিন্তু তাও শেষ রক্ষা হল না।
অভিনেত্রী টিনা ঘাই এই প্রসঙ্গে জানান, গুফি একটি নাটকের প্রস্তুতি নিছচিলেন। আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা পর্যবেক্ষণ করার পর জানান, অভিনেতা হৃদজনিত এবং কিডনির কিছু সমস্যা আছে। এরপর হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাঁকে।
টিনা জানান, কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন গুফির স্ত্রী। সেই জন্য সবাই ভেবেছিলেন, হাসপাতালে রাখতেই তাঁর ঠিকভাবে খেয়াল রাখা সম্ভব হবে। চিকিৎসায় একটু একটু করে সাড়াও দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হল না। সোমবার সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন অভিনেতা।