টলিউডের (Tollywood) পরম সুন্দরী অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। আসলে যখন কেউ মন থেকে খুশি থাকে তা তাঁর চোখেমুখেও ফুটে ওঠে। আর এই কারণেই বোধ হয় রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী এই টলি সুন্দরীর রূপের জেল্লা যেন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বাংলার অসংখ্য তরুণের কাছে এককথায় বং ক্রাশ তিনি। সদ্য বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ঋতাভরী অভিনীত সিনেমা ‘ফাটাফাটি’ (Fatafati)।
এই ফাটাফাটি সিনেমার জন্য পর্দায় ফুল্লোরা চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে ঋতাভরীকে প্রায় ২৫ কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছিল।যা সহজ ছিল না একেবারেই ওজন বেড়ে যাওয়ার পর বেশ কিছু সমস্যার মুখেও পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। ঋতাভরীরর কথায় মাটিতে বসে উঠতে কষ্ট হতো হাঁফ লাগতো। সেইসাথে তারকা হিসেবে মোটা চেহারার জন্য মানুষের ট্রোলিং তো জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে ওঠে। যদিও যখন রোগ ছিলেন তখনও ছেড়ে কথা বলেননি নিন্দুকরা।
সম্প্রতি টলি টাইম নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের সাথে ‘ফাটাফাটি’ সিনেমার জন্য ওজন বাড়ানো থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বডি শেমিং নিয়ে ট্রোলিং এমনই একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খুলে ছিলেন ঋতাভরী। এদিন ঋতাভরী জানান যখন তিনি রোগা ছিলেন তখনও তাকে ‘ফ্লাটন টিভি’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। তাই মানুষ রোগা হোক কিংবা মোটা তা নিয়ে নিন্দুকদের মন্তব্য করা যেন থামতেই চায় না।
তাই অসুস্থ শরীর নিয়ে সার্জারির পর এক ধাক্কায় যখন ঋতাবরীর ওজন বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছিল তখনও তাঁকে শুনতে হয়েছিল ‘হাতি’, ‘ফিটনেসের তো আর কোনো মা-বাবা নেই’! এমনই সব খারাপ খারাপ মন্তব্য। এছাড়া ফাটাফাটির একটি পোষ্টের উদাহরণ দিয়ে ঋতাভরী এদিন জানান সেখানে একজন নাকি কমেন্ট করে লিখেছিলেন ‘মোটাকে মোটা বলা যাবে না, রোগা কে রোগা বলা যাবে না, মানুষকে মানুষ বলা যাবে না!’ তার উদেশ্যে এদিন ঋতাভরী বলেছেন ‘তোমাকে কাউকে মোটা বা রোগা বলতে হবে কেন?’
এক্ষেত্রে অভিনেত্রী প্রশ্ন তুলেছেন যে তার ব্যাপারে কোন কিছু না জানেনই না, তার জীবনে দুঃখকষ্ট কোন কিছু সম্পর্কে যার ধারণাই নেই সে কাউকে কিভাবে তার চেহারা নিয়ে এমন ধরনের মন্তব্য করতে পারেন? তবে এদিন ঋতাভরী জানিয়েছেন এই ধরনের মন্তব্য তার ওপরে প্রভাব ফেলে না বললে ভুল বলা হবে। কারণ ঋতাভরীর কথায় ‘আমার তো গন্ডারের চামড়া নয়, খারাপ আমারও লাগে’। তবে হ্যাঁ অভিনেত্রী এখন যখনই এই ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়েন তখনই এটা ভেবে বিষয়গুলো এড়িয়ে যান যে ওই নিন্দুককে তিনি চেনেন না এবং সেও তার সম্পর্কে কোন কিছুই জানে না।
তাই এখন এই ধরনের কথা তার উপর সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনা। প্রসঙ্গত বাংলা সিনেমায় এখন খুবই কম দেখা যায় অভিনেত্রীকে। খুবই বেছে বেছে অভিনয় করেন তিনি। এপ্রসঙ্গে ঋতাভরী এদিন জানিয়েছেন তার ব্র্যান্ডিং টা এতটাই ভালো যে তাঁর স্টারডম কখনই কমে না। যার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। তাই তাঁর উপার্জনটা শুধুমাত্র বাংলা সিনেমার উপর নির্ভরশীল নয়। তাই তিনি এমন চরিত্রে অভিনয় করতে চান যেটা তার করতে মন চাইবে।
এদিন ঋতাভরী জানিয়েছেন তাঁর মা তাঁকে ছোট থেকে এতটাই স্বাধীনচেতা ভাবে বড় করেছেন যে তিনি কোনদিনইপরাধীন ভাবে বাঁচতে পারবেন না. আর যারা এই ধরনের বডি শেমিংয়ের কারণে প্রতিনিয়ত মানসিক অবসাদে ভুগছেন তাদের উদ্দেশ্যে ঋতাভরী পরামর্শ দিয়েছেন ‘এত স্যাক্রিফাইস করে কি হবে? মাদার ইন্ডিয়া হয়ে কি হবে? মানুষ হয়ে বাঁচো?’