বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন স্নেহা চট্টোপাধ্যায় (Sneha Chatterjeee)। একসময় বাংলা সিরিয়ালে খলনায়িকার চরিত্রে দাপিয়ে অভিনয় করেছিলেন স্নেহা। বিশেষ করে ‘জলনূপুর’ সিরিয়ালে তাঁর অভিনীত ভূমিসুতা চরিত্রটি আজও চোখে লেগে লেগে রয়েছে দর্শকদের।
সম্প্রতি সিরিয়ালের দুনিয়া থেকে বেরিয়ে ওয়েব সিরিজের জগতেও পা রেখেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। হইচই টিভিতে শুভশ্রী গাঙ্গুলি অভিনীত ‘ইন্দুবালার ভাতের হোটেল’ সিরিজে ‘লছমি’ চরিত্রে অভিনয় করে বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন স্নেহা। টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রীর পাশাপাশি স্নেহা অভিনীত চরিত্রটিও সমানভাবে প্রশংসিত হয়েছে দর্শকমহলে।
প্রসঙ্গত ইন্দুবালার ভাতের হোটেলে অভিনয় করার দরুন স্নেহার কেরিয়ার গ্রাফ বেড়েছে চড়চড়িয়ে। খুব তাড়াতাড়ি জি বাংলার পর্দায় একটি নতুন সিরিয়ালে কামব্যাক করতে চলেছেন স্নেহা। এসবের মধ্যেই সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয় জীবন থেকে শুরু করে এখনকার সাফল্য একাধিক বিষয়ে অকপট আড্ডায় বসেছিলেন অভিনেত্রী।
সেখানে তিনি জানিয়েছেন ইন্দুবালায় অভিনয়ের পর তাঁর উড়ান হয়েছে ঠিকই কিন্তু তিনি উড়ছেন না। স্নেহার কথায় ‘সবটাই জীবনের এক একটা পর্ব। এটা একটা জীবনের ভাল অধ্যায়। এটাও এক দিন কেটে যাবে। তবে এই মুহূর্তগুলো আমি সত্যিই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছি। এক দিন চলে যাবে এই সুখের মুহূর্ত। আবার কবে আসবে সেটা জানা নেই।’
প্রসঙ্গত স্নেহা একাধিক সুপারহিট সিরিয়ালে অভিনয় করলেও কখনও নায়িকা হতে দেখা যায়নি তাঁকে। এপ্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী স্পষ্ট জানান অভিনয় করব ভেবেছিলাম। নায়িকা হওয়ার ইচ্ছে ছিল না। মানে যদি হয়ে গেলাম, তো ঠিক আছে। কিন্তু মূল লক্ষ্য ছিল ভাল অভিনয় করার। ‘দক্ষিণ খোলা’ নামে একটা সিরিয়ালে অবশ্য নায়িকা হিসাবে কাজ করেছিলাম। ‘সুবর্ণলতা’ এবং ‘জল নূপুর’-এর পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, ভাল কাজ ছাড়া করব না। নায়িকা হওয়ার লোভ কখনও ছিল না আমার।’
তবে এতদিনের কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত সিনেমায় সুযোগ পাননি স্নেহা। এ প্রসঙ্গে এদিন স্নেহা বলেছেন ‘সত্যিই জানি না। আমার চেনা পরিচালকেরা যেমন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়— এদের সকলকেই আমি বলেছিলাম, সিনেমায় কাজ করতে চাই। কিন্তু যাঁদের বলিনি তাঁরা আমায় সুযোগ দিয়েছেন। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, রাজর্ষি দে— এদের সঙ্গে কিন্তু আমার পরিচয় ছিল না। কিন্তু তাঁরাই আমায় সুযোগ দিয়েছেন। আমার কিন্তু কাজ চাইতে কোনও লজ্জা নেই। দেবালয়দাকে (ভট্টাচার্য) অনেক দিন আগে বলে রেখেছিলাম। তার পর আচমকাই সুযোগ আসে।’