বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) তো বটেই, বলিউডের (Bollywood) অত্যন্ত পরিচিত মুখ হলেন মৌসুমী চ্যাটার্জি (Moushumi Chatterjee)। নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষের মন জয় করেছেন তিনি। একসময় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে গণ্য করা হতো তাঁকে। যদিও বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল বড়পর্দায় দেখা নেই তাঁর। তবে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে মাঝেমধ্যেই উঠে আসেন মৌসুমী।
২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পিকু’ ছবিতে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল এই বঙ্গ তনয়াকে। সুজিত সরকার পরিচালিত সেই সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন, দীপিকা পাড়ুকোনদের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে গত কয়েক মাস ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে রয়েছেন মৌসুমী। সম্প্রতি যেমন এক সাক্ষাৎকারে নিজের কেরিয়ারের একাধিক অজানা কাহিনী সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি।
মৌসুমী এমন একজন অভিনেত্রী যিনি বেশ শান্তশিষ্ট স্বভাবের। তবে একবার চটে গেলে তাঁকে সামলানো সহজ ছিল না। বলিউডের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, একবার এই বাঙালি অভিনেত্রীর রাগের নমুনা দেখেছিলেন সুপারস্টার ধর্মেন্দ্রর ছেলে সানি দেওলকে (Sunny Deol)।
ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯০ সালে। সেই বছর রিলিজ করেছিল রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত সিনেমা ‘ঘায়েল’। ছবির প্রযোজক ছিলেন ধর্মেন্দ্র নিজে। সানি, মৌসুমী একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন এই সিনেমায়। তবে শুধু এই দুই তারকাই নন, ‘ঘায়েল’এ দেখা গিয়েছিল, অমরীশ পুরী, ওম পুরীর মতো তারকাদের। এই ছবির শ্যুটিংয়ের সময়ই মৌসুমীর রাগের মুখে পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র।
মৌসুমী এমন একজন অভিনেত্রী যিনি অপেশাদার আচরণ একেবারেই পছন্দ করতেন না। আর অপেশাদার আচরণ করেই বাঙালি অভিনেত্রীর রোষের মুখে পড়েছিলেন তিনি। শোনা যায়, প্রত্যেকদিন সকাল ৯টার মধ্যে শ্যুটিং সেটে পৌঁছে যেতেন প্রত্যেক কলাকুশলী। শুধু পৌঁছতেন না সানি। বাবা প্রযোজক এবং ‘ঘায়েল’ ছবির পরিচালক সানির খুব ঘনিষ্ঠ হওয়ায় কেউ তাঁকে কিছু বলতেন না।
প্রথম প্রথম সব কিছু দেখে চুপ করে ছিলেন মৌসুমী। কিন্তু বেশিদিন মুখ বন্ধ রাখতে পারেননি। একদিন সানিকে ধমক দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘তোমায় অভিনয় দুনিয়ায় থাকা উচিত ন্য। এর থেকে বরং তুমি পাঞ্জাবে গিয়ে চাষবাস করো!’ বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর থেকে এমন ধমক খেয়ে বেশ থতমত খেয়ে গিয়েছিলেন সানি। একেবারে চুপ হয়ে যান অভিনেতা। শোনা যায়, একাধিকবার মৌসুমীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র।