চলতি বছর রিলিজ হতে চলা বলিউডের (Bollywood) বহু প্রতীক্ষিত সিনেমাগুলির মধ্যে একটি হল ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকার’ (Swatantrya Veer Savarkar)। রণদীপ হুডা (Randeep Hooda) পরিচালিত এবং অভিনীত এই সিনেমা স্বাধীনতা সংগ্রামী ভি.ডি সাভারকারের জীবনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এই ছবি। রবিবার স্বাধীনতা সংগ্রামীর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রকাশ্যে এসেছে এই ছবির টিজার।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইয়ে বীর সাভারকার (V.D. Savarkar) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা পালন করেছিলেন। তবুও এত বছর ধরে কোথাও গিয়ে যেন অজানাই থেকে গিয়েছে তাঁর কাহিনী। ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকার’ ছবির মাধ্যমে তাঁর অজানা জীবন কাহিনী এবং ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।
ছবির টিজারের শুরুতেই ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে রণদীপ হুডাকে বলতে শোনা যায়, দীর্ঘ ৯০ বছর ধরে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াই চলেছে। কিন্তু যদি অহিংসার পথ ছেড়ে অস্ত্র তুলে নেওয়া হতো তাহলে হয়তো অনেক আগেই দেশ স্বাধীন হয়ে যেত।
বীর সাভারকার এমন একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন যিনি অস্ত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ায় আস্থা রাখতেন। তাঁর আদর্শের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, ভগত সিং, ক্ষুদিরাম বসুর মতো ব্যক্তিত্বরা। ছবির টিজারে বীর সাভারকারকে, ব্রিটিশদের চোখে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড ভারতীয়’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’র টিজারে রণদীপকে বলতে শোনা যায়, মহাত্মা গান্ধী ভুল ছিলেন না। কিন্তু তিনি যদি অহিংসার পথ অবলম্বন না করে সহিংস নীতি বেছে নিতেন, তাহলে হয়তো ৩৫ বছর আগেই ভারত স্বাধীন হয়ে যেত। ইতিমধ্যেই দর্শকমহলে সারা ফেলে দিয়েছে রণদীপ হুডার এই ছবি টিজার।
https://youtu.be/rGGXejre0MY
বীর সাভারকারের বায়োপিকের হাত ধরেই পরিচালক হিসেবে পথচলা শুরু করলেন রণদীপ। এছাড়াও মুখ্য চরিত্রে অভিনয় এবং ছবির সহ-লেখকও তিনি। এই প্রসঙ্গে কথা বলার সময় অভিনেতা বলেন, ‘সাভারকারের জীবন দুর্দান্ত ছিল। সিনেমার জন্য গবেষণা করতে গিয়ে ওনার বিষয়ে আরও বিশদে জানতে পেরেছি। আমি ওনাকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করি’।