কমবেশি আমরা প্রত্যেকেই চুল ওঠার (Hair Fall) সমস্যার সম্মুখীন হই। কখনও কখনও এত বেশি চুল উঠতে থাকে যে মানুষ দুশ্চিন্তায় ভুগতে শুরু করে দেয়। চুল ওঠার এই সমস্যার কারণে অল্প বয়সেই অনেকের মাথায় টাক পড়ে যায়। তবে বলে রাখি, টাক পড়লেও আর চিন্তার কিছু নেই। কারণ আজকের প্রতিবেদনে এমন ৪টি তেলের (Oil) কথা তুলে ধরা হল যেগুলি ব্যবহার করলে ৭ দিনের মধ্যে টাকে নতুন চুল গজায়। সেই সঙ্গেই বন্ধ হয় চুল ওঠা।
নারকেল তেল (Coconut Oil)- মা-ঠাকুমারা প্রায়ই বলেন, চুলের জন্য নারকেল তেল খুব উপকারী। চুলে প্রোটিন জোগাতে খুব কার্যকর এই তেল। সেই জন্য নিয়মিত মাথায় নারকেল তেল মালিশ করা চুলের জন্য খুব উপকারী। তবে তাই বলে কিন্তু অতিরিক্ত তেল মেখে বসে থাকবেন না। স্ক্যাল্প এবং চুলের গোড়ায় ভালোভাবে তেল মালিশ করুন। এরপর অবশ্যই শ্যাম্পু করে নিন।
ক্যাস্টর অয়েল (Castor Oil)- চুল ভালো রাখায় ক্যাস্টর অয়েল প্রচণ্ড কাজে আসে। একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে। প্রথমে একটি পাত্রে নারকেল তেল এবং কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন। এরপর সেই চুলের গোড়া এবং স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগান। চাইলে চুলেও এই তেল লাগাতে পারেন। ঘণ্টাখানেক রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। এরপর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগিয়ে নেবেন।
আমন্ড অয়েল (Almond Oil)- চুলের আর্দ্রতা হারানো , ডগা ফাটার সমস্যার সম্মুখীন কমবেশি আমরা প্রত্যেকেই হই। এই সমস্যা সমাধান করায় আমন্ড অয়েল প্রচণ্ড কাজে আসে। এতে ভিটামিন ই থাকে। সেটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং সেই সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত চুলও সারিয়ে তোলে।
অলিভ অয়েল (Olive Oil)- চুলের জন্য অলিভ অয়েলও প্রচণ্ড ভালো। একাধিক গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এটি স্ক্যাল্পে ডাইহাইড্রোটেস্টস্টেরন বাইন্ড হতে দেয় না। এটি চুল ওঠা রুখতে কাজে আসে। সেই সঙ্গেই নতুন চুল গজানোতেও কাজে আসে।
এছাড়া আপনার চুলে যদি খুশকির সমস্যা থাকে তাহলেও কিন্তু এই অলিভ অয়েল কাজে আসবে। কারণ এই তেলে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকে। সেই জন্য এটি স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এর মধ্যেকার ময়েশ্চারাইজিং উপাদান নতুন চুল গজানোয় সাহায্য করে।