জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) ‘নিম ফুলের মধু’তে (Neem Phooler Madhu) নায়িকা পর্ণার (Parna) সামনে এসে হাজির হচ্ছে একটার পর একটা নতুন চ্যালেঞ্জ। একটা সমাধান হতে না হতেই এসে হাজির হচ্ছে আরো এক নতুন চ্যালেঞ্জ। ছোট কাকা আর ছোট কাকিকে সম্মানের সাথে দত্ত বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পর এবার পর্ণার সামনে হাজির আরও এক নতুন চ্যালেঞ্জ বাড়ির কর্ত্রী অর্থাৎ ঠাম্মা হেমলোিনী দেবীকে বিপদের হাত থেকে বাঁচানো।
সিরিয়ালটির যারা নিয়মিত দর্শক তারা জানেন দত্ত বাড়িতে রয়েছে এক বহুমূল্যের গুপ্তধন। অনেক বছর আগে পাবনার এক জমিদার জমিদারি নিলামি হওয়ার সময় তাঁদের বাড়ির কুলদেবতা সোনার গণেশকে রেখে গিয়েছিলেন দত্ত বাড়িতে। আর অন্যের সেই গুপ্তধন নিজের ছেলের হাত থেকে বাঁচাতেই এক গোপন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিলেন ঠাম্মি অর্থাৎ থেমেলিনী দেবীর শ্বশুর মশাই।
কিন্তু এই গুপ্তধনের সন্ধান তিনি দিয়ে যাননি ঠাম্মিকেও। কারণ তিনি জানতেন তার কুলাঙ্গার ছেলে তার বৌমার কাছ থেকে ঠিক চাপ দিয়ে কথা বের করে নেবে। কিন্তু তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন গুপ্তধনের এক জটিল ধাঁধা। সেই ধাঁধা পড়ে সবাই যখন দিশেহারা তখন তার সমাধান করার জন্য সবার ভরসা একমাত্র পর্ণা। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রোমো।
সেখানে দেখা যাচ্ছে পর্ণার হাতে উদ্ধার হয়েছে অন্যের পরিবারের কুল দেবতা অর্থাৎ সোনার গণেশ। বাড়ির সকলেই যখন সেই গণেশ আত্মসাৎ করে বিরাট অংকের অর্থলাভের আশায় মশগুল ঠিক তখনই সেখানে এসে হাজির হয় এক বৃদ্ধা মহিলা এবং একজন যুবক। তিনি এসেই পর্ণার হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় গণেশ মূর্তিটি। এরপর সেখানে উপস্থিত বৃদ্ধাকে দেখে চমকে ওঠেনঠাম্মি হেমনলিনী দেবী।
এমনকি তিনি তার নাম ধরে পিয়ালী বলেও ডেকে ওঠেন। কাজেই বোঝা যাচ্ছে তাঁরা দুজনেই পূর্ব পরিচিত। এরপরেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে ওই বৃদ্ধা জানান হেমনলিনী দেবী নয় আসলে দত্ত বাড়ির বৌ তিনি। এ কথা শুনে যখন একদিকে বাবুর মা খোঁচা দিতে ছাড়ে না। অন্যদিকে তখনই বিপদের মাঝে পর্ণা ঠাম্মির পাশে দাড়িয়ে তাকে এই অপবাদ থেকে মুক্ত করার চ্যালেঞ্জ নেয়।