পরাধীন ভারতের বাস্তব ঘটনা নিয়ে তৈরি স্টার জলসার (Star Jalsha) অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মেগা সিরিয়াল ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (Komola O Sreeman Prithwiraj)। ইংরেজ শাসনের জামানায় সে সময় ভারতীয়দের মনে যেভাবে কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস গেঁথে বসেছিল তারই বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই ধারাবাহিকে।
বিশেষ করে সেসময় যেভাবে সমাজের মেয়েদের চোখে আঙুল দিয়ে নারী পুরুষের বৈষম্য দেখিয়ে দেওয়া হতো ধারাবাহিকে সেই ভেদাভেদের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠতে দেখা যাচ্ছে নায়ক নায়িকা কমলা আর তার স্বামী শ্রীমান পৃথ্বীরাজকে। তবে একথা বলতে হায় সেযুগের মানুষ হয়েও কমলার শ্বশুরমশাই অর্থাৎ পৃথ্বীরাজের বাবা ছিলেন অনেক বেশি আধুনিক মনস্ক। শিক্ষার আলো দিয়ে তিনি সবকিছুকে বিচার করতে পারতেন।
কিন্তু তাঁরই অনুপস্থিতিতে সে সময় বাড়ির ছোট মেয়েকে এক বয়স্ক কুলিন ব্রাহ্মণ-এর সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই বয়স্ক মানুষের মৃত্যু হলে মানিকের ওই অল্প বয়সী ছোট পিসিকেও চিতায় তুলে দেওয়া হয়েছিল সতীদাহ প্রথা করানোর জন্য।
তবে চিতায় আগুন দেওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে সেখানে পৌঁছে গিয়ে মানিকের পিসিকে সতী হওয়া থেকে রক্ষা করেছিল মানিকের বাবা। চিতা থেকে বাঁচিয়ে বিধবা বোনকে বাড়ি এনে তুলেছিলেন তিনি। ধারাবাহিকের গত পর্বে সম্প্রচারিত হয়েছে সেই পর্ব। যেখানে দেখা গিয়েছেন বিধবা হওয়ায় মানিকের ছোট পিসির বড় চুল রাখা নিয়ে আপত্তি তাদের বাড়ির লোকেদেরই।
জোর করে তারা তার বড় চুল কেটে দিতে যায় ছোট পিসির। তখন সেখানে উপস্থিত কমলা ছোট পিসিকে রক্ষা করতে ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। সে জানিয়ে দেয় বিধবা হওয়ার অপরাধে যদি ছোট পিসির চুল কেটে দেওয়া হয় তাহলে সেও সধবা হয়ে নিজেই নিজের চুল কেটে ফেলবে। এইভাবেই কুসংস্করের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা এই ধারাবাহিক দর্শকদের মনে এক আলাদা জায়গা তৈরি করে নিয়েছে।
যার ছাপ পড়ছে টিআরপি তালিকাতেও। তাই চলতি সপ্তাহেই প্রতিপক্ষ খেলনা বাড়িকে হারিয়ে স্লট দখল করেছে কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ। আর সম্প্রতি ধারাবাহিকের এই পর্ব দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন দর্শকরা। এই সিরিয়ালের এমনই একজন দর্শক প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন ‘এক কথায় অনবদ্য কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ। কমলার শ্বশুরমশাই এতোটা সাপোর্ট করে তার কোন তুলনাই হয়না। আর কমলা মানিক তো সাথে আছেই। এভাবেই হেটারের মুখে ঝামা ঘসে কমলা এগিয়ে যাক।’