জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচারিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagaddhatri)। গোয়েন্দা কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই সিরিয়াল শুরু থেকেই দর্শকদের প্রচণ্ড পছন্দের। ইতিমধ্যেই একাধিকবার বেঙ্গল টপারও হয়েছে এই সিরিয়াল। এটি এমন একটি ধারাবাহিক যা বাড়ির মা-কাকিমাদের সঙ্গেই বাবা-কাকাদেরও ভীষণ পছন্দের। ন্যায়পরায়ণ, সাহসী অফিসার জ্যাসকে প্রচণ্ড পছন্দ করেন তাঁরা।
‘জগদ্ধাত্রী’র নিয়মিত দর্শকরা জানেন, কৌশিকীর মেয়ে ছোট্ট কাঁকন এখন তুষার তলাপাত্রের কবলে পড়েছে। কৌশিকীকে দু’টি অপশন দেওয়া হয়েছে। প্রথম, তুষারের সমস্ত অন্যায়কে ধামাচাপা দিয়ে দিতে হবে। আর দ্বিতীয়, মেয়ে কাঁকনকে চিরদিনের মতো ভুলে যেতে হবে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও কৌশিকী নিজের দায়িত্বে অবিচল। একজন সাহসী এবং সৎ সাংবাদিক হিসেবে সে তুষারের মুখোশ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
খবরের কাগজে তুষারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কৌশিকীর এই সিদ্ধান্তের পিছনে অবশ্য আরও একটি কারণ রয়েছে। সে জানে, জ্যাস সান্যাল থাকতে তাঁর মেয়ের কিচ্ছু হবে না। আর সেই বিশ্বাস থেকেই তুষার তলাপাত্রের মিথ্যা এবং দুর্নীতি ফাঁস করে দেয় সে।
তবে এবার ‘জগদ্ধাত্রী’তে আসতে চলেছে একেবারে ধুন্ধুমার পর্ব। সিরিয়ালের আসন্ন পর্বে দেখানো হবে, দিব্যা সেন (Divya Sen) তাঁর গুণ্ডাদের ‘শ্যুট’ করার নির্দেশ দেয়। ম্যাডামের থেকে এই আদেশ শুনে গুণ্ডারা কৌশিকীর দিকে বন্দুক তাক করে। ঠিক সেই মুহূর্তে এন্ট্রি হয় স্বয়ম্ভূর।
কৌশিকীকে গুলি করতে যাওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগেই সেই গুণ্ডার পায়ে গুলি করে স্বয়ম্ভূ। স্বাভাবিকভাবেই বেঁচে যায় কৌশিকী। এরপরই আসরে নামে জগদ্ধাত্রী। দুধের গ্লাসে থাকা দুধ দিব্যা সেনের মুখে ছুঁড়ে মারে সে।
এরপর স্বভাবোচিত স্টাইলে বলে ওঠে, আই অ্যাম সরি। আজ আপনাকে আমি কোর্টে নিয়ে যাব। সেখানে আরও দু’জন রাঘব বোয়াল রয়েছে। কোন রাঘব বোয়ালদের কথা বলছে জগদ্ধাত্রী? সেই উত্তর জানতে গেলে চোখ রাখতে হবে টিভির পর্দায়।