বলিউডের (Bollywood) এভারগ্রিন অভিনেত্রী বলা হয় রেখাকে (Rekha)। নিজের রূপের মাধ্যমে কোটি কোটি পুরুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে দুর্দান্ত অভিনয় দক্ষতা তো ছিলই। অমিতাভ বচ্চন থেকে বিনোদ মেহরা- রেখার রূপের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছিলেন বলিউডের অনেক তারকাই। তবে দুর্ভাগ্যবশত অভিনেত্রীর জীবনের কোনও প্রেমই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
রেখা-অমিতাভের প্রেমকাহিনীর কথা যখন জানাজানি হয়, তখন অভিনেত্রীর দিকে ধেয়ে এসেছিল একাধিক কটাক্ষ। জুটেছিল ‘ঘর ভাঙানি’ তকমা। শোনা যায়, ‘বিগ বি’র সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী সংসার পাতবেন বলে ঠিক করেন। সাত পাক ঘোরেন ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালের (Mukesh Aggarwal) সঙ্গে। তবে বিয়ের কয়েক মাসের মাথাতেই আত্মহত্যা (Suicide) করেন রেখার স্বামী। তাঁর লেখা সুইসাইড নোট (Suicide Note) ওলটপালট করে দেয় নায়িকার জীবন।
বিভিন্ন নামী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিয়ের কিছু সময় পর থেকেই রেখা এবং মুকেশের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা দিতে শুরু করে। বিয়ের পর ডিপ্রেশনেও চলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রীর স্বামী (Husband)। এরপর হঠাৎ একদিন জানা যায়, আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
বিয়ের মাত্র কয়েক মাসের মাথায় মুছে যায় রেখার সিঁথির সিঁদুর। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রেখার ওড়না দিয়ে নিজেকে শেষ করেছিলেন মুকেশ। একথা জানাজানি হওয়ার পর প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলেন বলি অভিনেত্রী। এরপর স্বামীর লেখা সুইসাইড নোট প্রকাশ্যে আসতেই রেখার দিকে ধেয়ে আসতে থাকে একাধিক কটাক্ষ।
মৃত্যুর আগে রেখার স্বামী একটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছিলেন। সেখানে উল্লেখ করা ছিল তাঁর স্ত্রীয়ের কথা। জানা যায়, মুকেশ সেই নোটে লিখেছিলেন, তাঁর সম্পত্তির কোনও ভাগ রেখা পাবেন না। কারণ তিনি মনে করেন রেখা নিজেই যথেষ্ট স্বাবলম্বী এবং তিনি নিজেই আয় করতে সক্ষম। মুকেশের মৃত্যুর পর অনেকেই আঙুল তুলেছিলেন রেখার দিকে। রাতারাতি নায়িকা থেকে ‘জাতীয় খলনায়িকা’ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
যদিও মুকেশের পরিবারের তরফ থেকে কখনও রেখাকে দোষারোপ করা হয়নি। বরং অভিনেত্রীকে ‘ক্লিন চিট’ দিয়ে তাঁরা বলেছিলেন, ‘রেখা আমাদের থেকে কখনও কিছু চায়নি’। শোনা যায়, রেখা অভিনেতা বিনোদ মেহরার সঙ্গেও চুপিচুপি সাত পাক ঘুরেছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত সেই বিয়েও টেকেনি।