বাংলা টেলিভিশন (Television) ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হলেন শ্রুতি দাস (Shruti Das)। সিরিয়ালপ্রেমী মানুষদের কাছে এখন তাঁর পরিচিতি অবশ্য ‘পাখি’ নামেই বেশি। জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘রাঙা বউ’য়ে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সম্প্রতি এই অভিনেত্রীই নিজের বিয়ের প্ল্যানিং থেকে প্রেমিক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের (Swarnendu Samaddar) সঙ্গে সম্পর্ক- সবকিছু নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় বসেছিলেন।
সাম্প্রতিক অতীতে বিনোদন দুনিয়ার একাধিক তারকা গাঁটছড়া বেঁধেছেন। বহু দিন ধরেই শ্রুতি এবং স্বর্ণেন্দুর বিয়ের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। সত্যি সত্যিই কি সাত পাক ঘুরছেন তাঁরা? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গেই জানান, কীভাবে তাঁর প্রেমিক প্রতি মুহূর্তে তাঁকে আগলে রাখেন। ‘রাঙা বউ’ নায়িকার কথা, বাবার মতো একজন মানুষকে প্রেমিক হিসেবে পেয়েছেন তিনি।
শ্রুতি এবং স্বর্ণেন্দুর মধ্যে বয়সের ফারাক বেশ অনেকখানি। অভিনেত্রী তাঁর প্রেমিকের থেকে প্রায় ১৪ বছরের ছোট। সেই জন্য বহুবার কটাক্ষও শুনতে হয়েছে তাঁকে। ‘প্রেমিক নাকি বাবা?’ এমন কুরুচিকর মন্তব্যও ধেয়ে এসেছে তাঁর দিকে। যদিও নিন্দুকদের সেসব মন্তব্যকে পাত্তা দেননি এই তারকাজুটি। বরং আরও শক্ত করে চেপে ধরে একে অপরের হাত।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় শ্রুতিকে। অভিনেত্রী জানান, ৪ বছর ধরে প্রেম করছেন তাঁরা। তবু এখনও একে অপরকে চোখে হারান দু’জনে। সেটে একসঙ্গে প্রায় ১৪ ঘণ্টা সময় কাটান তাঁরা। বাড়িতে সেভাবে সময় দিতে পারেন না। কাজ করে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন নায়িকা। তবে ছুটি থাকলেই বেরিয়ে পড়েন আউটিংয়ে।
একই সাক্ষাৎকারে বিয়ে নিয়েও মুখ খোলেন শ্রুতি। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমরা সত্যিই সংসারী জীবন কাটাচ্ছি। সো কলড বিয়েটাই শুধু হয়নি। সেটে আমার শরীর খারাপ থাকতে ও শটের মাঝে গিয়ে পাতলা কোনও ঝোল রান্না করে দেয়। কাজ সামলে একে অপরের খেয়াল রাখার চেষ্টা করি আমরা। তবে বিয়ে নিয়ে তেমন কিছু ঠিক করিনি। আমরা দু’জনেই আসলে গো উইথ দ্য ফ্লোয়ে বিশ্বাসী। চাপা একটা প্ল্যানিং চলতেই থাকে। তবে এই সময়েই করতে হবে এমন ব্যাপার নেই। কিন্তু ইচ্ছা তো আছেই’।
বিয়ের প্ল্যানিংয়ের পর স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে নিজের বয়সের ব্যবধান নিয়েও মুখ খোলেন শ্রুতি। পর্দার পাখি বলেন, ‘আমার বয়স যেহেতু ওঁর থেকে অনেকটা কম তাই অভিজ্ঞতাও কম। তবে আমাদের সম্পর্কের এই বয়সের ফারাকটা আমার কাছে বাবার মতো কাউকে একটা পেয়ে যাওয়ার মতো। মা-বাবার মতো টেক কেয়ার করে। আজ পাবে যাই, কাল ডেটে যাইয়ের থেকে এগুলো ঊর্ধ্বে। বরং শ্যুটে এসে শরীর কীভাবে ঠিক থাকবে, অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া- এগুলো বেশি জরুরি’।