বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এভারগ্রীন অভিনেত্রী বলতে প্রথমেই আসে একজনেরই নাম তিনি হলেন টলিউডের (Tollywood) পরম সুন্দরী অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি (Rachna Banerjee)। তাঁর কাছে বয়স সত্যিই একটা সংখ্যা মাত্র। তাই পঞ্চাশের কোটা ছুঁতে চললেও আজও রচনা যেন সুইট সিক্সটিন। তাই ১৩ থেকে ৮৩ যে-কোনো মানুষই জানতে চান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বয়সেও এমন সুন্দর রূপ-যৌবন ধরে রাখার আসল রহস্যটা কি?
ঘর সংসার সামলানোর পাশাপাশি কাজের ব্যস্ততার মাঝেও নিজের শরীরচর্চা করতেন ভোলেন না রচনা। তবে সম্প্রতি তাঁরই সঞ্চালিত জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এর মঞ্চে তাঁর বিউটি সিক্রেটের রহস্য ভেদ করে হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন আরও একজন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী রাজশ্রী ভৌমিক (Rajashree Bhowmik)।
আসলে ইন্ডাস্ট্রিতে কম বয়সী অভিনেত্রীরা সকলেই জানতে চান রচনার এই সৌন্দর্য ধরে রাখার রহস্য কি? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়েছে রাজর্ষীর সেই গোয়েন্দা গিরির একটি ভিডিও। এদিন রচনা ব্যানার্জীর সৌন্দর্য ধরে রাখার সিক্রেট নিয়ে ফাঁস করেছেন টেলি অভিনেত্রী রাজশ্রী ভৌমিক।
আসলে সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানের সেলিব্রেটি স্পেশাল পর্বে হাজির হয়েছিলেন রাজশ্রী ভৌমিক,তনুশ্রী গোস্বামী, ভাবনা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং দেবপর্ণা পালচৌধুরীর মতো অভিনেত্রীরা। এদিন রচনার কাছে রাজশ্রীর প্রশ্ন ছিল তিনি সারাদিন কীভাবে এত উৎসাহের সঙ্গে তার সব কাজ করতে পারেন?
একদিকে তিনি ছেলেকে মানুষ করছেন,নিজের মায়ের দায়িত্বও তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে আবার সেইসাথে গোটা দিনের একটা বড় অংশ শুটিং করছেন, এছাড়া করছেন নিয়মিত শরীরচর্চা। এখানেই শেষ নয়। এত কিছুর পরেও শুটিং সেরে বাড়ি গিয়ে সেই একই উৎসাহের সঙ্গে সামলাচ্ছেন শাড়ির ব্যবসা।
এককথায় রচনা যেন দু’হাতে দশভুজা! কিন্তু সেটা করে? এপ্রসঙ্গে এদিন রচনা বলেন তিনি নাকি ভীষণ কাজ পাগল মানুষ। এমনকি তিনি নাকি টানা ৪৮ ঘন্টা না থেমে কাজ করে যেতে পারেন। এরপর নিজের জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে রাজশ্রী বলে ওঠেন, ‘আজ রচনা ব্যানার্জীর হাঁড়ির খবর জানাবো। তোমার এই সৌন্দর্যের রহস্য আমি জেনেই তবে যাব।’
View this post on Instagram
এরপরেই দেখা যায় রচনার দিকে এগিয়ে গিয়েই প্রথমে ছোলার কৌটো এবং তারপর হজমির কৌটো বের করে আনেন রাজর্ষি। চলা আর হজমির কৌটো বার করে রাজর্ষি বলতে শুরু করেন, ‘দেখে নাও সবাই রচনার সৌন্দর্য্যের রহস্য আমি ফাঁস করে দিলাম।’ তখন সেখানে উপস্থিত আরেক অভিনেত্রী তনুশ্রী গোস্বামী বলে ওঠেন, ‘মানে ছোলা খেয়ে সেটাও হজম করে নিতে হবে। তবেই না রচনা ব্যানার্জীর মত এমন ফিগার ধরে রাখা যায়!’