আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন অথচ বীরভূমের বাসিন্দা ভুবন বাদ্যকরের ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar) গাওয়া জগৎ বিখ্যাত গান ‘কাঁচা বাদাম’ (Kancha Badam) শোনেননি এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে একথা ঠিক সময়ের সাথে সাথেই এখন ফিকে হয়েছে ভুবন বাদ্যকরের সেই কাঁচা বাদাম ম্যাজিক।
গল্প হলেও সত্যির মতোই এই একটা গান গেয়েই বীরভূমের অলিগলি থেকে কলকাতার রাজপথ পেরিয়ে গোটা ভারতের গন্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিশ্বের দরবারে। একাধিক মিউজিক ভিডিওর পাশাপাশি শর্ট ফিল্ম করেও বেশ ভালোই টাকা উপার্জন করেছিলেন একসময়। নিয়মিত ডাক পেয়েছেন গানের শো করারও।
সব মিলিয়ে একটু একটু করে সুখের মুখ দেখতে শুরু করেছিলেন সামান্য এই বাদাম বিক্রেতা। কিন্তু সবটাই ছিল ক্ষণস্থায়ী। তাই ইদানিং মানুষের কাছে কদর কমেছে বাদাম কাকুর। আর ক্রেজ কমতেই আবার তিনি যেই কে সেই। তাই একসময় রাজার হলে থাকা বাদাম কাকুর এখন দিন কাটছে বিরাট অভাবের মধ্যে দিয়ে। হাতে টাকা আসতেই একসময় নিজের মনের মতো করে যে স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ বানিয়েছিলেন তিনি। কিনেছিলেন সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িও।
কিন্তু মাঝে শোনা গিয়েছিল চাঁদার জুলুমে স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ ছেড়ে নাকি তিনি এখন পাশের গ্রামে ভাড়া বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন। এমনকি উপহার স্বরূপ একটা আইফোন-ও পেয়েছিলেন তিনি। শোনা যায় তার সেই সাধের আইফোনটাও নাকি কেউ একজন নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
এসবের মধ্যেই গোঁদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো বাংলাদেশের এক ইউটিউবার এসে যাচ্ছেতাইভাবে অপমান করে যায় বাদাম কাকুকে। ওই ইউটিউবারের দাবি ছিল ভুবন বাদ্যকরের গান ভাইরাল হওয়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাঁর। কিন্তু ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নাকি ভুবন বাদ্যকরের হাবভাব বদলে গিয়েছিল। সেই সময় তাঁর সঙ্গে শুধু দেখা করতে চাইলেই নাকি টাকা চাওয়া হত।
এই ঘটনার পর নাকি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বাদাম কাকু। তবে এখন তিনি নাকি ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে বাড়ি ফেরার সাথে সাথেই নাকি বাদাম কাকু জানিয়েছেন, যে কাঁচা বাদাম গানের জন্য এত কান্ড সেই কাঁচা বাদাম গানটাই হয়তো আর কোনোদিন গাইবেন না তিনি। তবে সেইসাথে তিনি জানিয়েছেন ঈশ্বর চাইলে আবার আগের অবস্থা ফিরে পাবেন তিনি।