জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচারিত অন্যতম ভক্তিমূলক একটি সিরিয়াল হল ‘গৌরী এলো’ (Gouri Elo)। এই ধারাবাহিকের নায়ক নায়িকা ঈশান-গৌরী (Ishan-Gouri) ছাড়াও স্বয়ং মা ঘোমটা কালী কিন্তু এই সিরিয়ালের অন্যতম মূল আকর্ষণ। ভক্তিমূলক সিরিয়াল হওয়ায় মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের অলৌকিক কান্ড কারখানা ঘটতে দেখা যায় এই ধারাবাহিকে।
যা দেখে দর্শকরা বহুবার দাবি জানিয়েছেন ধর্মীয় সিরিয়ালের ঠাকুর দেবতা নিয়ে এই ধরনের ছেলে খেলা করা একেবারেই ঠিক হচ্ছে না। তবে সিরিয়াল নিয়ে যতই ট্রোল চলুক না কেন দিনের শেষে টি আর পি লিস্টে ছবিটা কিন্তু একেবারে অন্য। প্রতি সপ্তাহেই টি আর পি তালিকায় কিন্তু প্রথম পাঁচের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে গৌরী এল।
এই সিরিয়ালের নিয়মিত দর্শকরা জানে বেশ কিছুদিন হল পাহাড় থেকে পড়ে গিয়ে স্মৃতি হারিয়ে ডাক্তার ঈশান এখন সাধু বাবার বেশেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ ঘোষাল বাড়ির সবাই ভাবছে পাহাড় থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ঈশানের। অন্যদিকে গৌরী গর্ভবতী হওয়ায় তাকে এবং তার সন্তানকে প্রাণে মেরে ফেলতে চায় শৈলমা। তার জন্যই এবার গৌরীকে নিজের হাতে বিষ খাইয়েছে তিনি।
শুধু তাই নয় গৌরীর বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন করার জন্য তিনি নিজেও সেই বিষ মাখা ভাত খানিকটা খেয়ে নিয়েছেন। তবে তবে নিজের যাতে কোন ক্ষতি না হয় তার জন্য তিনি ঘরে গিয়েই সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিডোট খেয়ে নেন। অন্যদিকে বিষ মাখা ভাত খেয়ে ততক্ষণে শরীর অসুস্থ হতে শুরু করে গৌরীর। তাই গৌরী যখন প্রবল প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছে তখন বাড়ির পরিচারকদের সবাইকে টাকা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পাশাপাশি ফোনের লাইন কেটে দেয় শৈল মা।
এছাড়া গৌরীর মোবাইলও নিয়ে নেন তিনি। তাই বাড়ি থেকে বেরোনোর সবরকম চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে যখন মোবাইলের কথা ভাবছে তখন সামনে আসে শৈলমা। আর গৌরীর সামনেই তাঁর মোবাইল ছুড়ে ফেলে বিষ খাওয়ানো থেকে শুরু করে নিজের সমস্ত পরিকল্পনার কথা নিজে মুখে স্বীকার করে শৈল মা জানান আগামী ৪৫ মিনিটের মধ্যেই গৌরী এবং তার সন্তান দুজনেই মারা যাবে।
https://youtu.be/V2EcGQAzDvY
গৌরী তখন শৈল মার কাছে তাঁর এই মহাপাপের কারণ জানতে চাইলে শৈলমা জানায় সে ঈশানের সন্তানকে মারতো না। কিন্তু তিনি আগে থেকেই তিনি দৈব বাণী পেয়েছেন যেখানে তিনি জানতে পেরেছেন ঈশানের সন্তান তাঁর মৃত্যুর কারণ হবে। তাই সে কোনভাবেই ঈশানের সন্তানকে জন্মাতে দেবে না।
তখন গৌগৌরী হুংকার দিয়ে জানায় যে তার সন্তান জন্ম নেবে এবং সে নিজেই শৈলমাকে মারবে। একথা শুনে ঘর থেকে পালিয়ে যায় শৈল মা। অন্যদিকে ততক্ষণে শরীর খারাপ করে ঈশানের। তখন মা ঘোমটা কালীর আশীর্বাদে ঈশানের স্মৃতিও ফিরে আসে। এরপর ঈশান স্ত্রী গৌরী আর সন্তানকে বাঁচানোর জন্য ছুটে আসতে থাকে।