রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee) নামটাই যথেষ্ট, আলাদা করে তাঁর পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এক সময়ে টলিউডের (Tollywoodd) পর্দা কাঁপানো এই অভিনেত্রী এখন বাংলার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi No 1)। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে জি বাংলার জনপ্রিয় নন ফিকশন রিয়েলিটি শো দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালনা করেই তিনি এখন বাংলার ঘরে ঘরে দিদি নাম্বার ওয়ান হয়ে উঠেছেন।
নিজের দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে রচনা উপহার দিয়েছেন একাধিক সুপারহিট সব সিনেমা। বাংলায় তো বটেই হিন্দি এবং সাউথের পাশাপাশি রচনা অভিনয় করেছেন বহু আঞ্চলিক ভাষার সিনেমাতেও। যার মধ্যে অন্যতম ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। আশি থেকে নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা জগতে যেমন প্রসেনজিৎ-রচনা জুটি অত্যন্ত হিট হয়েছিল তেমনি ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতেও সেখানকার জনপ্রিয় নায়ক সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের (Sidhant Mohapatra) সাথে রচনার জুটি ব্যাপক হিট হয়েছিল।
সেসময় রচনা সিদ্ধান্তের জুটি ছিল নাম্বার ওয়ান জুটি। একসাথে তাঁরা অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি বাংলা সিনেমাতেও। যার মধ্যে অন্যতম ‘সিঁদুর নিয়ে খেলা’, ‘পুতুলের প্রতিশোধ’, ‘ভালবাসার প্রতিদান’ ইত্যাদি। তবে জানা যায় এই সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সাথে একসময় রচনা ব্যানার্জীর পর্দার প্রেম গড়িয়েছিল বাস্তবে। সিনেমায় একসাথে অভিনয়ের সূত্রেই নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন এই জুটি।
এমনকি শোনা গিয়েছিল সিদ্ধান্ত রচনা গোপনে বিয়েও (Marriage) করেছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্তের পরিবার নাকি সেই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। এরপর সম্ভবত ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে বাংলাতেই পাকাপাকিভাবে কাজ শুরু করেন রচনা। যদিও এই বিয়ে নিয়ে প্রাক্তন জুটির কেউই মুখ খোলেননি কোনোদিন। পরবর্তীতে রচনা বিয়ে করেছিলেন প্রবল বসুকে।
যদিও তাঁর সেই বিয়েও সুখকর হয়নি। সন্তানের কথা ভেবে বিচ্ছেদ না হলেও স্বামীর সাথে থাকেন না রচনা। একবার এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন তিনি তার স্বামীকে ডিভোর্স দিলে তার সন্তান হতো ডিভোর্সী মায়ের ছেলে। সেটা তিনি চাননি। তাই স্বামীর সাথে ডিভোর্স না দিয়েই আলাদা থাকেন রচনা।
তবে এত বছর পরেও রচনার সাথে সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের জুটিকে ভুলতে পারেননি সিনেমা প্রেমীরা। আজও তাঁদের জুটি নিয়ে চলে তুমুল চর্চা। অনুরাগীদের কাছে তাঁদের জুটি আজও ভীষণ জনপ্রিয়। রচনার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে একবার এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা সিদ্ধান্ত মহাপাত্র জানিয়েছিলেন ‘রচনা তার খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। পর্দায় তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা এতটাই ভালো ছিল যে অভিনয় করার জন্য পরিচালকের প্রয়োজন হতো না।’