‘কাঁচা বাদাম’ (Kancha Badam) গান গেয়েই রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন হয়ে উঠেছিলেন বীরভূমের ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। কিন্তু সময়ের সাথে সাথেই ফিকে হয়েছে ভুবন বাদ্যকরের সেই কাঁচা বাদাম ম্যাজিক। গল্প হলেও সত্যির মতোই এই একটা গান গেয়েই বীরভূমের অলিগলি থেকে শুরু করে পেরিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতার রাজপথ।
তাঁকে নিয়ে একসময় কম মাতামাতি হয়নি বাংলার জনপ্রিয় সব রিয়ালিটি শো গুলির মঞ্চেও। মিউজিক ভিডিওর পাশাপাশি শর্ট ফিল্ম করেও বেশ ভালোই টাকা উপার্জন করেছিলেন একসময়। নিয়মিত ডাক পেয়েছেন গানের শো করারও।
কিন্তু সবটাই ছিল ক্ষণস্থায়ী। ইদানিং মানুষের কাছে কদর কমেছে বাদাম কাকুর। আর ক্রেজ কমতেই আবার তিনি যেই কে সেই। রায়ের হলে থাকা বাদাম কাকুর দিন কাটছে এখন বিরাট অভাবের মধ্যে দিয়ে। হাতে টাকা আসতেই একসময় নিজের মনের মতো করে যে স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ বানিয়েছিলেন চাঁদার জুলুমে সেই রাজপ্রাসাদ ছেড়েই নাকি তিনি এখন পাশের গ্রামে ভাড়া বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন।
কথায় আছে ‘অহংকারই মানুষের পতনের মূল!’ ইতিপূর্বে যার অসংখ্য উদাহরণ দেখেছেন মানুষ। আর ইদানিং এই কথাটির জলজ্যান্ত উদাহরণ হলেন বীরভূমের কাঁচা বাদাম গানের স্রষ্টা খোদ ভুবন খোদ ভুবন বাদ্যকর। কিছুদিন আগেই তিনি দাবি করেছিলেন তার গানের কপিরাইট নাকি কিনে নিয়েছেন একজন ব্যক্তি। যার জন্য এখন গান পর্যন্ত গাইতে পারছেন না বাদাম কাকু।
শুধু তাই নয় এখন আর অন্য কোথাও শো করারও ডাক পাচ্ছেন না তিনি। সব মিলিয়ে এখন বিরাট অভাবের মধ্যেই দিন কাটছে বাদাম কাকুর। এরই মধ্যে এক বিস্ফোরক দাবি করলেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার মহাসান স্বপ্ন। তিনি জানিয়েছেন ভুবন বাদ্যকরের গান ভাইরাল হওয়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাঁর।
তিনিই নাকি সেসময় ভুবন বাদ্যকরের গানটির সঙ্গে তার ফোন নাম্বার এবং পেটিএম নাম্বার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। অথচ গানটি ভাইরাল হওয়ার পর আজ পর্যন্ত কোন অনুষ্ঠানে তার নাম পর্যন্ত নেননি ভুবন কাকু। মাহসান স্বপ্নের কথায় ‘ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ভুবন বাদ্যকরের হাবভাব বদলে গিয়েছিল। শুধু ফোন ধরার জন্যই নাকি ৬ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিল। এখন যদিও তাদের একজনও নেই’।
সেই সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে নাকি টাকা চাওয়া হত বলেও দাবি করেছেন মাহসান। তবে শোনা যাচ্ছে এদিন ভুবন বাদ্যকরের সাথে মাহসান বীরভূমে দেখা করতে গেলে তার কাছে নাকি ক্ষমা চেয়ে ভুবন বাদ্যকর বলেছেন ‘আমি ভুল করেছি।’