বলিউডের (Bollywood) ‘পাওয়ার কাপল’দের মধ্যে একজন ছিলেন ঋষি কাপুর (Rishi Kapoor) এবং নীতু কাপুর (Neetu Kapoor)। ঋষি পরলোক গমন করেছেন। স্বামীর স্মৃতি আগলে দিনযাপন করছেন স্ত্রী নীতু। রণবীর কাপুরের মা-বাবার মধ্যেকার ভালোবাসা ছিল দেখার মতো। একদিকে যেখানে বলিউডে সম্পর্কের ভাঙা-গড়া লেগেই থাকে, সেখানে একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন ঋষি এবং নীতু। শত ঝড়ঝাপ্টাতেও আলগা হয়নি সেই বন্ধন।
খুব কম বয়সেই রাজ কাপুরের পুত্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন নীতু। বিয়ের পর অভিনয় দুনিয়া থেকে সাময়িকভাবে সরেও দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন বিয়ে এবং তারপর সন্তানদের বড় করায় মনোনিবেশ করেছিলেন ঋষি-পত্নী। সেই সঙ্গেই সহ্য করেছেন স্বামীর পরকীয়ার জ্বালা।
একবার এক সাক্ষাৎকারে ঋষির পরকীয়ায় জড়ানো নিয়ে মুখ খুলেছিলেন নীতু। রণবীরের মা জানিয়েছিলেন, বহুবার স্বামীকে হাতেনাতে ধরেছেন তিনি। আউটডোরে শ্যুটিং করতে গিয়ে নাকি অনেকবার ‘এক রাতের ফুর্তি’তে (One night stand) মেতেছেন ঋষি। আর প্রায় প্রত্যেকবার স্বামীকে হাতেনাতে ধরে ফেলতেন তিনি।
নীতুর কথায়, ‘আমি ওঁকে প্রায় শতবার হাতেনাতে ধরেছি। আমি হয়তো প্রথম ব্যক্তি ছিলাম যে আউটডোরে গিয়ে ওঁর পরকীয়ার বিষয়ে জানতে পারতো। তবে আমি এটাও জানতাম এই সবগুলোই আসলে এক রাতের ফুর্তি ছাড়া কিছু নয়। দু’বছর আগে অবধিও আমি এগুলো নিয়ে ঝগড়া-অশান্তি করেছি। তবে এখন আর কিছু যায় আসে না’।
ঋষি-পত্নীর সংযোজন, ‘ওঁকে বলতাম, আমিও দেখব তুমি এটা কতদিন ধরে করতে পারো। আসলে আমরা দু’জনে দু’জনকে প্রচণ্ড বিশ্বাস করতাম। আমি জানতাম, ওঁর কাছে সবার আগে আসে ওঁর পরিবার। তাই এসব নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামানোর দরকার নেই। এসবগুলো আসলে টাইমপাস। ও আমার ওপর প্রচণ্ড নির্ভরশীল ছিল। ও আমায় ছেড়ে কোথাও যাবে না। আমি মনে করি, এই বিষয়ে পুরুষ মানুষদের একটু স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। এটা পুরুষদের চরিত্রেই থাকে। তাঁদের বাঁধা সম্ভব নয়’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘কভি কভি’ ছবির শ্যুটিং করতে গিয়ে একে অপরকে মন দিয়ে বসেছিলেন ঋষি-নীতু। ১৯৮০ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন তাঁরা। প্রায় ৪০ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল তাঁদের। ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল প্রয়াত হন ঋষি। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলেন নীতু। এখন অবশ্য রণবীরের বিয়ের পর বৌমা এবং নাতনি আসার পর স্বামীকে হারানোর ধাক্কা কিছুটা কাটিয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী।