স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela) ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি। কিন্তু কয়েকমাসের মধ্যেই দর্শকদের রোজনামচার জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে মৌ (Mou), ডোডো (Dodo), বীথিরা। মেয়েদের জীবন সংগ্রামের কাহিনী দেখিয়ে ‘মেয়েবেলা’ খুব কম সময়েই মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। অন্যান্য সিরিয়ালের মতো পরকীয়া পরকীয়া নয়, বরং বাস্তবভিত্তিক কাহিনী দেখিয়ে সকলের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে এই সিরিয়াল।
‘মেয়েবেলা’র নিয়মিত দর্শকরা জানেন, নায়ক ডোডোর সঙ্গে ১২ বছরের সম্পর্ক ছিল চাঁদনির। তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু ভাগ্যচক্রে ডোডো মৌয়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়ে। প্রথমে মৌকে স্ত্রী হিসেবে মেনে না নিতে পারলেও, ডোডো কিন্তু কখনও প্রাক্তন প্রেমিকার কাছে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবেনি। বরং সবসময় স্ত্রীকে যথার্থ সম্মান দিয়েছে সে।
শুধু তাই নয়, যখন ডোডোর মা বীথি তাঁকে মৌকে ছেড়ে চাঁদনিকে বিয়ে করার পরামর্শ দেয় তখনও সে প্রতিবাদ করে জানায়, চাঁদনি তাঁর অতীত ছিল। এই ধরণের কথা বিয়ে পর না ভাবাই শ্রেয়। ডোডো নিজের চরিত্র গুনে অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের চোখে আদর্শ স্বামী হয়ে উঠেছে। এখন আবার নিজের অজান্তেই সে ভালোবেসে ফেলেছে মৌকে।
‘মেয়েবেলা’র সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি পর্বে দেখানো হয়েছে, সারাক্ষণ মৌ-মৌ’ই করছে ডোডো। তাঁর মুখে শুধু স্ত্রীয়ের নামই শোনা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, মৌয়ের ভালো-মন্দ, সম্মান-অসম্মান নিয়েও আগের থেকে অনেক বেশি ভাবছে সে।
বিশেষত চাঁদনিকে নিয়ে তাঁকে ভুল বুঝে মৌ যখন খারাপ কথা শুনিয়েছিল, তখনও বেশ মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল ডোডোর। এরপর বড় পিসেমশাইকে শাস্তি দেওয়ার সময় মৌ যখন কাঁচের ওপর দিয়ে হেঁটে নিজের পা কেটে ফেলে তখন সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীয়ের পিছন পিছন দৌড়ে যায় সে। এমনকি স্ত্রীয়ের পা কেটে গিয়েছে বলে তাঁকে কোলে করে ঘর অবধি নিয়েও যায় সে।
সম্প্রতি আবার দেখানো হয়েছে, মৌয়ের সাবধানতার কথা ভেবে চুড়িদার পরা নিয়ে সরব হয় ডোডো। এমনকি এই নিয়ে আম্মার বিরোধিতাও করতে দেখা যায় তাঁকে। এসব দেখেই দর্শকদের অনুমান, নিজের অজান্তেই মৌকে অনেকটা ভালোবেসে ফেলেছে ডোডো। বীথি যতই দু’জনকে আলাদা করার চেষ্টা করুক না কেন, ডোডো আর মৌকে ছেড়ে কোথাও যাবে না। আর বলাই বাহুল্য, ‘মেয়েবেলা’র এই নতুন ট্র্যাক দেখে একেবারে দিলখুশ হয়ে গিয়েছে দর্শকদের।