কয়েকদিন ধরে সূর্যের (Sun) যা তেজ, তাতে সানস্ক্রিন ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখার কথা একেবারেই ভাবা যায় না। সূর্যের এই তাপ থেকে ত্বককে বাঁচানোর মোক্ষম দাওয়াই হল এটি। তবে অনেক সময়ই দেখা যায়, খরচের কথা ভেবে অনেকে সানস্ক্রিন (Sunscreen) বিষয়টিকে এড়িয়ে যান। তাহলে বলে রাখি, আর খরচের কথা ভাবতে হবে না। এবার বাড়িতেই সহজ উপায়ে বানিয়ে ফেলুন সানস্ক্রিন (Homemade sunscreen) আর বাই বাই বলুন ত্বকের জেল্লার হারানোর দুশ্চিন্তাকে।
কী কী লাগবে?
১) ৪ কাপ নারকেল তেল
২) ১ চা চামচ লাল র্যাস্পবেরি সিড অয়েল
৩) ১ চা চামচ ক্যারট সিড তেল
৪) ৩ কাপ শিয়া বাটার
৫) ১ কাপ তিলের তেল অথবা জোজোবা অয়েল
৬) ২ টেবিল চামচ প্রাকৃতিক মোম
৭) পরিমাণ অনুযায়ী গোলাপ জল
কীভাবে বানাবেন?
প্রথমে নারকেল তেল, প্রাকৃতিক মোম এবং শিয়া বাটার একসঙ্গে গলিয়ে নিন। সব গলে যাওয়ার পর ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে মিশ্রণটিকে ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার পর সেই মিশ্রণ ফ্রিজে ১৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট অবধি রাখুন। এরপর ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা মিশ্রণটি বের করুন এবং হ্যান্ড মিক্সার দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন।
ফেটিয়ে নেওয়ার পর সেই মিশ্রণের সঙ্গে র্যাস্পবেরি সিড অয়েল, এসেনশিয়াল অয়েল এবং ক্যারট সিড অয়েল মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণটি ফেটালে দেখবেন ফুলে উঠেছে। ব্যস, আপনার সানস্ক্রিন তৈরি। এরপ কাঁচের বোতলে করে ফ্রিজে ভরে রাখুন এবং যখন ইচ্ছা বের করে ব্যবহার করুন। এটি ছাড়াও আরও একটি উপায়ে ঘরোয়া সানস্ক্রিন বানানোর পদ্ধতি তুলে ধরা হল।
কী কী লাগবে?
১) এসপিএফ সমৃদ্ধ নারকেল তেল
২) শিয়া বাটার
৩) জোজোবা তেল, সূর্যমুখীর তেল কিংবা তিলের তেল
৪) ইউক্যালিপটাস তেল এবং ল্যাভেন্ডার তেল
৫) ভিটামিন ই তেল
৬) জিঙ্ক অক্সাইড (নন ন্যানো)
কীভাবে বানাবেন?
প্রথম একটি বড় পাত্র জল গরম করতে বসান। এরপর আর একটি পাত্রে নারকেল, শিয়া বাটার, জোজোবা/সূর্যমুখী অথবা তিলের মেশান। এরপর এই পাত্রটি গরম জলের পাত্রে বসিয়ে দিন। যতক্ষণ অবধি না শিয়া বাটার গলছে ততক্ষণ অবধি গতম করুন। এরপর মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হতে দিন। এরপর সেই মিশ্রণের সঙ্গে ভিটামিন ই, জিঙ্ক অক্সাইড এবং বাকি এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে সেটি ঢালুন এবং ফ্রিজে রেখে দিন। সর্বোচ্চ ৬ মাস ব্যবহার করা যাবে এই সানস্ক্রিন।
কতটা জিঙ্ক অক্সাইড নেবেন?
এসপিএফ ২-৫- ৫% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ৫-১১- ১০% জিঙ্ক অক্সাইড
এফপিএফ ১২-১৯- ১৫% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ২০’র বেশি- ২০% জিঙ্ক অক্সাইড।
বি দ্রঃ- ত্বকে কোনও কিছু ব্যবহার করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে কোনও কিছু ব্যবহার করাই বাঞ্ছনীয়।