বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্যতম চর্চিত গায়ক তথা নায়ক হলেন হিরো আলম (Hero Alom)। এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলা তাঁকে চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তবে এখন শুধু গান কিংবা অভিনয়েই আটকে নেই হিরো আলম। এবার বাংলাদেশের রুচির দুর্ভিক্ষ কাটাতে এক বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন এই ইউটিউব তারকা। সবাইকে রীতিমতো অবাক করে দিয়ে এবার নিজেকে সুশিক্ষিত করার কাজে মন দিয়েছেন হিরো আলম।
রবিবার এপ্রসঙ্গে বাংলা দেশের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন ‘আমার বাড়ি উত্তরাঞ্চলের বগুড়া জেলায় হওয়ায় ভাষায় আঞ্চলিকতার টান চলেই আসে। সেটি পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। তাছাড়া আমার উচ্চারণেও কিছু সমস্যা আছে, সবাই বলে হিরো আলম সবকিছু পরিবর্তন করতে পারে। এটিও পারবে। সে জন্য নিজেকে আমি নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। দেখি কতদূর পরিবর্তন হতে পারি। আমার কথা নিয়ে যেহেতু মানুষের এত প্রবলেম, সেটাই আগে ঠিক করব।’
সেইসাথে আলম আরও জানান তাঁকে নাকি অনেকেই পড়াশোনা করে সুশিক্ষিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এবার সেই পরামর্শ টাকেই কাজে লাগিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছেন তিনি। যার জন্য নিজের অফিসেই একজন শিক্ষককেও রেখেছেন তিনি।
আলমের কথায় ‘অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন আমি পড়ালেখা শিখি, সুশিক্ষিত হই। সেই পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে অফিসে শিক্ষক রেখে একটু একটু করে শেখার চেষ্টা করছি। অনেকে আমাকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদালয়ে ভরতি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সেটা তো আমার পক্ষে সম্ভব না। কারণ আমি নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। আমাকে পরিবার চালানোর জন্য আয় করতে হয়।’
সেইসাথে নিজের দুর্বলতার কোটা প্রশয়ে স্বীকার করে নিয়েই হিরো আলম বলেন, ‘আমি জানি আমার কিছু দুর্বলতা আছে। সেগুলো কাটানোর চেষ্টা করছি। সেগুলো কাটাতে পারলে মানুষ আর আমাকে নিয়ে কথা বলতে পারবে না। কেউ আর রুচির দুর্ভিক্ষে পড়বে না। রুচির দুর্ভিক্ষ কাটাতে লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছি’।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই হিরো আলমকে নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশেরই জনপ্রিয় নাট্যকার মামুনুর রশিদ (Mamunur Rashid) বলেছিলেন ‘এই হিরো আলম নিয়ে আমি অনেক দিনই বিরক্ত ছিলাম। বিরক্ত ছিলাম এই কারণেও আমাদের দেশের মানুষের তো রুচির দুর্ভিক্ষ হয়ে গেছে’। আর তারপরেই এবার পড়াশোনা করে নিজেকে সুশিক্ষিত করার কাজে মন দিয়েছেন হিরো আলম।