সাম্প্রতিক অতীতে স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় একাধিক ধারাবাহিকের (Serial) সম্প্রচার শুরু হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। বাংলা সিরিয়ালের চিরাচরিত পরকীয়া-কূটকচালি ছেড়ে নারীদের সংগ্রাম নিয়ে শুরু হয়েছে এই সিরিয়াল। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই দর্শকদের মনে স্থান করে নিয়েছে মৌ (Mou)-ডোডো-বীথিরা। এবার এই সিরিয়ালের একটি পর্ব দেখেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন দর্শকরা।
‘মেয়েবেলা’র নিয়মিত দর্শকরা জানেন, মিত্রবাড়ির মেয়ে তথা মৌয়ের ননদ টিকলি ছোটবেলায় তাঁর বড় পিসেমশাইয়ের দ্বারা হেনস্থার শিকার হয়েছিল। দোলের দিন ৭ বছরের টিকলির সঙ্গে এই ঘৃণ্য অপরাধ করেছিল তাঁর বড় পিসেমশাই (Boro pishemoshai)। সেই ঘটনার ২০ বছর পরেও টিকলির মন থেকে সেই ঘটনা মুছে যায়নি।
অনেক চেষ্টা করে মৌ কাউন্সেলিং করিয়ে টিকলির মন থেকে সেই ভয় কিছুটা বের করলেও ২০ বছর পর বড় পিসেমশাইকে আবার সামনে দেখে টিকলির শরীর খারাপ হতে থাকে। ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়েছে, মিত্রবাড়িতে মৌ-ডোডোর জন্য সত্য নারায়ণ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বড় মেয়ে তপু এবং বড় জামাই সুবোধকে ডেকে পাঠায় আম্মা। বাড়ি ভাগ নিয়ে কথা বলার জন্য তাঁদের ডেকে পাঠান তিনি।
কিন্তু সেখানে এসে মৌয়ের সঙ্গে অসভ্যতা করে সুবোধ। যা দেখে বড় জামাইবাবুকে ঠাটিয়ে থাপ্পড় মারে বীথি। এরপর মৌ এবং পাপাইয়ের করে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে সুবোধকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য মিত্রবাড়িতে পুলিশ এসে হাজির হয়। ঠিক তখনই বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করে সুবোধ।
সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পিছু নেয় মৌ। স্ত্রীকে দেখে ডোডোও পিছন পিছন যায়। এরপরই দুশ্চরিত্র পিসেমশাইকে আটকাতে মিত্র বাড়ির সকল মেয়ে দুর্গা রূপ ধারণ করে। সুবোধ ডোডোর গলা টিপে ধরতে গেলে মৌয়ের মাসি প্রথমে এসে তাঁর মুখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুঁড়ে মারে। এরপর একে একে বাড়ির প্রত্যেক মেয়ে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে মশলা ছুঁড়তে থাকে।
স্বাভাবিকভাবেই সেই জন্য চোখ জ্বলতে শুরু করে সুবোধের। চোখে হাত দিয়ে সে এসে মৌয়ের পায়ের সামনে পড়ে যায়। তখনই দেখা যায়, ডাঁসা হাতে মা দুর্গার মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে সে। পাশে রয়েছে টিকলি, সেম্মা থেকে শুরু করে মৌয়ের মাসি, মাসির মেয়ে প্রত্যেকে। ধারাবাহিকের এই দৃশ্য দেখেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন দর্শকরা। নারীশক্তির সম্মিলিত প্রয়াসে যেভাবে দুশ্চরিত্র পিসেমশাইকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা দেখে ‘মেয়েবেলা’কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।