বাঙালিদের কাছে ট্রাভেল ডেস্টিনেশন (Travel Destination) মানেই ‘দীপুদা’। সমুদ্র হলে দীঘা কিংবা পুরী আর পাহাড় হলেই দার্জিলিং (Darjeeling)! এখন আবার পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার ট্রাভেল ডেস্টিনেশনের লিস্টে যোগ হয়েছে কালিম্পংয়ের (Kalimpong) নামও। তবে এক জায়গায় বারবার যেতে কারোরই ভালোলাগে না। সেই জন্য আজকের প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) এমন একটি হিল স্টেশনের (Hill Station) নাম তুলে ধরা হল যা অনেকেই চেনেন না। জায়গাটির নাম কাফেরগাঁও (Kaffergaon)।
আশ্বিনের এই কাঠ ফাটা গরমে এমনিতেই বঙ্গবাসী হাঁসফাঁস করতে শুরু করে দিয়েছে। অনেকে আবার গরম থেকে বাঁচতে এই সময়ই পাহাড়ে ঘুরতে চলে যান। তবে গরমের মধ্যে ঘুরতে গিয়ে কেউই ভিড়ের মধ্যে পড়তে চান না। সেই জন্য আজ কাছেপিঠের মধ্যে এমন একটি স্থানের খোঁজ তুলে ধরা হল যেখানে খুব বেশি ভিড়ও হয়না, আবার একবার গেলে প্রেমে পড়তে বাধ্য।
প্রকৃতির কাছাকাছি, পাহাড়ের কোলে নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য কালিম্পংয়ের কাফেরগাঁও একেবারে পারফেক্ট। আপনি যদি কাউকে না নিয়ে একান্তে সময়কাটাতে চান তাহলেও এখানে চলে যেতে পারেন। আপনি চাইলে কালিম্পং-লাভা হয়ে কাফেরগাঁও যেতে পারেন। আবার নিউ মাল স্টেশন হয়েও যেতে পারেন। সেখান থেকে দূরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার।
এই দুইয়ের মধ্যে কোনও রুট না নিয়ে আপনি যদি সবুজে ঘেরা বনের মধ্যে দিয়ে যেতে চান তাহলে বাগরাকোট থেকে লোলেগাঁও হয়ে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে কাফেরগাঁও যেতে হবে আপনাকে। আপনি যদি হোটেলে না থাকতে চান, তাহলে কাফেরগাঁওয়ে হোম স্টেতেও থাকতে পারেন। সেখানে মাত্র ২ দিন কাটালেই আপনার সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
আপনি যদি হোমস্টেতে থাকেন তাহলে ঘর থেকেই দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। পাশাপাশি খাবারদাবারেরও কোনও অসুবিধা নেই এখানে। চাইলে পাহাড়ি খাবার চেখে দেখতে পারেন, আবার ইচ্ছা হলে নিজের পছন্দমতো বাঙালি খাবারও পেয়ে যাবেন। তবে গ্রামটি যেহেতু খুব বড় নয়, সেই জন্য আগে থেকে বুক করেই সেখানে যাবেন।
কাফেরগাঁওয়ে গেলে অবশ্য শুধুমাত্র সেখানেই আবদ্ধ না থেকে আপনি চাইলে আশেপাশের নানান জায়গা থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। ২-৩ দিনের ট্যুরে গেলে মাথাপিছু আপনার ৩০০০-৪০০০ টাকা খরচ পড়বে। অর্থাৎ দৈনিক ১০০০-১২০০ টাকা মতো লাগবে। তবে পাহাড়ের এক অপূর্ব সুন্দর রূপ যদি আপনি দেখতে চান, তাহলে অবশ্যই একবার ঘুরে আসুন কাফেরগাঁও থেকে।