ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার হলেন টলিউড (Tollywood) সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায় (Pallavi Chatterjee)। তাঁর ব্যাক থেকে উধাও হয়ে গেল কয়েক লক্ষ টাকা। তবে এখানেই কিন্তু শেষ নয়, বরং এটা তো সবে শুরু। এরপর ব্যাঙ্কে এই বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার পর তিনি জানতে পারলেন তিনি নাকি মৃত। সম্পূর্ণ ঘটনায় বেশ বিরক্ত বুম্বাদার বোন।
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির (Bank farud) বিষয় একেবারেই নতুন নয়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকা- প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে টাকা খুইয়েছেন অনেকেই। কখনও ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার নাম করে, কখনও আবার ওটিপির নাম করে মানুষকে ঠকিয়ে থাকেন কিছু অসাধু ব্যক্তি। এমনই কিছু অসাধু ব্যক্তি পল্লবীর ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষাধিক টাকা গায়েব করেছেন।
প্রসেনজিতের বোন (Sister) জানান, দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তিনি গত কয়েক বছর ধরেই প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে টাকা জমাচ্ছিলেন। কিন্তু একদিন হঠাৎ করে তাঁকে জানানো হয়, সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পল্লবীর কথায়, ‘আমায় দু-এক দিন অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। এরপর দু’দিন অপেক্ষা করে আমি যখন অ্যাকাউন্ট স্টেটাস জানতে চাই, তখন দেখি আমার অ্যাকাউন্টে ৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা নেই’। শুধু তাই নয়, তিনি মৃত, এই বলে বন্ধ করে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টটি। বুম্বাদার বোনের প্রশ্ন, ‘আমি বেঁচে থাকতে কেউ কীভাবে ‘ডেথ ক্লেম’ করতে পারে?’
সম্পূর্ণ ঘটনায় ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের ভূমিকায় বেশ ক্ষুব্ধ পল্লবী। তাঁর বক্তব্য, ‘টাকাগুলো কোথায় গায়েব হয়ে গেল? এর জন্য কে দায়ী হতে পারে? এখনও অবধি ব্যাঙ্কের কাছ থেকে এই বিষয়ে কোনও সদুত্তর আমি পাইনি’। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি কি মৃত্যুর শংসাপত্র না দেখেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল? এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
৯ লাখের বেশি টাকা হারানোর পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে ফেলেছেন পল্লবী। পুলিশ যেভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন তাতে খুশি প্রসেনজিতের বোন। তাঁর বিশ্বাস, খুব তাড়াতাড়ি নিজের হারানো অর্থ তিনি আবার ফিরে পাবেন।