বলিউডের (Bollywood) ইতিহাসের অত্যন্ত আইকনিক একটি জুটি ছিল রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna) এবং শর্মিলা ঠাকুরের (Sharmila Tagore)। বলিউডের প্রথম সুপারস্টারের সঙ্গে এই বঙ্গ তনয়ার অনস্ক্রিন রসায়ন দারুণ পছন্দ ছিল দর্শকদের। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছেন তাঁরা। তবে সম্প্রতি প্রয়াত রাজেশের ‘কুকর্ম’ নিয়ে সকলের সামনে মুখ খোলেন শর্মিলা।
সইফ আলি খানের মায়ের অভিনয় কেরিয়ার শুরু হয়েছিল কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে। ‘ভবিষ্যতের হীরে’কে ঠিক চিনে নিয়েছিলেন ‘পথের পাঁচালী’র পরিচালক। অভিনেত্রী হিসেবে রুপোলি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করার পর থেকে আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি শর্মিলাকে। টলিউডের তো বটেই, বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন তিনি।
গত বেশ কয়েক বছর অবশ্য নিজেকে পর্দা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন শর্মিলা। সম্প্রতি ‘গুলমোহর’ ছবির মাধ্যমে ফের ইন্ডাস্ট্রিতে কামব্যাক করেছেন তিনি। বয়স হলেও, এখনও পর্দায় তাঁর ‘ক্যারিশমা’ কিন্তু একই রকম রয়ে গিয়েছে।
নায়িকা হিসেবে রাজেশ খান্না থেকে শুরু করে ধর্মেন্দ্র- বি টাউনের একাধিক সুপারস্টারের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন শর্মিলা। তবে রাজেশের সঙ্গে তাঁর জুটিই সবচেয়ে বেশি পছন্দ ছিল দর্শকদের। ১৯৬৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আরাধনা’ ছবিতে প্রথমবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল দু’জনকে। বক্স অফিসে ও দর্শকমহলে সাড়া ফেলে দিয়েছিল ছবিটি। এরপর ‘অমর প্রেম’, ‘সফর’ সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমায় একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। তবে একটা সময়ের পর আর রাজেশ-শর্মিলাকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। এরপর নেপথ্যে কি কোনও কারণ ছিল? সম্প্রতি তা নিয়ে মুখ খোলেন সইফের মা নিজে।
রাজেশকে নিয়ে তৈরি হওয়া অডিও বুক ‘রাজেশ খান্নাঃ এক তনহা সিতারা’য় এই নিয়ে কথা বলেন শর্মিলা। অভিনেত্রী বলেন, ‘৯টার সময় শিফট থাকলে উনি ১২টার সময় আসতেন। সেই জন্য আমরা সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারতাম না। ইউনিটের প্রত্যেকে চাপে পড়ে যেত। এরপর আমায় বাড়তি সময় কাজ করার উনি জোর করতেন। এটা যেন একটা নিয়মে পরিণত হয়েছিল। বিষয়টা নিয়ে আমার মনে একটা দ্বন্দ্ব চলত’।
শর্মিলার সংযোজন, ‘এছাড়া রাজেশ এক নায়িকার সঙ্গে বারবার কাজও করতে চাইতেন না। স্থবির হয়ে যাওয়ার ফল ভালো হয় না। সে যাই হোক, অল্প কয়েকটি সিনেমায় আমরা একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। তবে একথা মানতে বাধা নেই যে, আমায় এটা অনেক স্বস্তি দিয়েছিল’।