জি বাংলার (Zee Bangla) ধর্মীয় বিষয়কেন্দ্রিক সিরিয়াল ‘গৌরী এলো’তে (Gouri Elo) নায়ক নায়িকা ঈশান-গৌরী (Ishan-Gouri) হলেন হর পার্বতীর মানব রূপ। আর সম্প্রতি ধারাবাহিকে তাঁদের মহামিলনের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য (Close Scene) দেখিয়ে দর্শকদের রোষের মুখে পড়েছেন এই সিরিয়ালের নায়ক নায়িকা তো বটেই সেইসাথে গৌরী এলো সিরিয়ালের গোটা টিম।
নিয়মিত দর্শকরা জানেন ঘোষাল বাড়ির মা ঘোমটা কালী গৌরীর হাত ধরে মাঝেমধ্যেই নানান ধরনের অলৌকিক সব ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। তবে এতদিন এই ধরনের অলৌকিক ঘটনার সাথে শুধুমাত্র গৌরীর যোগ থাকলেও এখন দেখা যাচ্ছে ডাক্তারবাবু ঈশান যে নিজেও স্বয়ং দেবাধিদেব মহাদেবের অংশ সেও কম যায় না। অজান্তেই সে এমন এমন কান্ড ঘটিয়ে বসছে যার পিছনে সত্যিই কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
ইতিপূর্বে দর্শক দেখেছেন ঘোষাল বাড়িতে ঈশান-গৌরী যতবারই কাছাকাছি এসেছে ততবারই ফাটল ধরেছে মা ঘোমটা কালীর ঘোমটার চাঙড়ে। সিরিয়ালের বর্তমান প্লট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে বাড়ি থেকে দূরে এক দুর্ভিক্ষপীড়িত গ্রামে বহুদিন পর দেখা হয়েছে ঈশান-গৌরীর। আর বহুদিন পর গৌরীকে কাছে পেতেই তাকে আদোরে ভরিয়ে দেয় ঈশান।
গতকালের সেই পর্বেই স্বয়ং মহাদেবের অংশের সাথে মহামিলন হয়েছে দেবী পার্বতীর অংশের। আর ঈশান-গৌরীর এই ঘনিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্তেই দেখা যায় প্রচন্ড প্রলয়ের সাথে সাথেই নিমেষের মধ্যে খসে পড়েছে ঘোমটা কালীর ঘোমটার চাঙড়।ঠাকুর দেবতার সিরিয়ালে এমন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একেবারে ছি ছি পরে গিয়েছে।
(ভিডিওটি দেখার জন্য ওপরের লিঙ্কে ক্লিক করুন। )
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে কেউ লিখেছেন ‘ঠাকুর দেবতা নিয়ে খিল্লি করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। এই সব ভাটের সিরিয়াল দেখিয়ে’। একই সুরে আর একজন লিখেছেন ‘যখনই বাবা মার সাথে সিরিয়াল দেখতে বসি, ঠিক তখনই আজে বাজে সিন গুলো দেখায়। কি যে রাগ ধরে। টিভি দেখা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যদিও বা কাল দেখতে বসলাম। এসব আবোল তাবোল সিন দেখাতে লাগলো’।
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এহেন কটাক্ষের মাঝেই এপ্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন গৌরী অভিনেত্রী মোহনা মাইতি (Mohona Maity)। এপ্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনে পর্দার গৌরী বলেছেন ‘সত্যি বলতে যে গতিতে গল্প এগোচ্ছে, শুটিংয়ের ব্যস্ততায় আমার পক্ষে কোনও মন্তব্য পড়া সম্ভবই হচ্ছে না’। তবে দর্শকদের কটাক্ষের কথা স্বীকার করে নিয়েই পর্দার গৌরির সপাট জবাব ‘খারাপ মন্তব্যের মধ্যেও আমি পজ়িটিভ দিকটা খুঁজে বার করার চেষ্টা করি। যার যেমনটা মনে হচ্ছে সে তেমনটা লিখেছে। আমার কিছু যায়-আসে না’।