বলিউডের (Bollywood) ইতিহাসের অত্যন্ত আইকনিক ছবি হল ‘৩ ইডিয়টস’ (3 Idiots)। আমির খান, শরমন জোশী (Sharman Joshi), আর মাধবন অভিনীত এই ছবিটি দর্শকদের দারুণ পছন্দ হয়েছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তিন বন্ধুর বন্ধুত্বের কাহিনী মন ছুঁয়ে গিয়েছিল দর্শকদের। রাজকুমার হিরানি পরিচালিত এই সিনেমায় অভিনয়ের পর দর্শকদের অনেকের কাছেই আমির, শরমন, মাধবনরা র্যাঞ্চো, রাজু (Raju), ফারহান নামেই পরিচিত হয়ে গিয়েছেন।
‘৩ ইডিয়টস’ রিলিজ করেছে দেখতে দেখতে বেশ অনেকগুলো বছর হয়ে গিয়েছে। সেই ছবির পর আমির এবং মাধবনকে পর্দায় বহুবার দেখা গিয়েছে। কিন্তু রাজু রস্তোগি তথা শরমন যেন বলিউড থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন। বেশ অনেকটা সময় হয়ে গিয়েছে তাঁকে পর্দায় দেখা যায় না। আজকের প্রতিবেদনে এই অভিনেতার খোঁজই তুলে ধরা হল।
১৯৭৯ সালে নাগপুরের একটি গুজরাটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শরমন। অভিনেতার পরিবারের অনেকেই থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেখান থেকে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় তাঁর। এরপর পড়াশোনা সম্পূর্ণ করে থিয়েটার যোগ দেন তিনি। একটি গুজরাটি নাটকে বধির ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করে সকলকে মুগ্ধ করে দিয়েছিলেন শরমন।
এরপর তাঁর সামনে খুলে যায় বলিউডের দরজা। শাবানা আজমি পরিচালিত ‘গডমাদার’ ছবিতে প্রথম দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর ‘শাদি নম্বর ১’, ‘স্টাইল’, ‘এক্সকিউজ মি’র মতো বহু ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। তবে শরমনের ভাগ্য বদলে যায় ‘রং দে বসন্তী’ এবং ‘গোলমাল’ ছবিতে অভিনয়ের পর।
এই দুই ছবিতে অভিনয় করার পর থেকেই দর্শকমহলে বাড়তে থাকে শরমনের জনপ্রিয়তা। এরপর ‘৩ ইডিয়টস’এ অভিনয়ের পর আরও জনপ্রিয় হয়ে যান তিনি। পার্শ্বচরিত্র হলেও শরমনের অভিনয় নজর কেড়েছিল দর্শকদের।
কিন্তু সেই ছবির সাফল্যের পর ‘ওয়াজা তুম হো’, ‘হেট স্টোরি ৩’, ‘১৯২০ লন্ডন’এর মতো বেশ কয়েকটি বি গ্রেডের ছবিতে অভিনয় করেন শরমন। অনেকের মতে, এই ধরণের ছবিতে অভিনয় করেই শেষ হয়ে যায় অভিনেতার কেরিয়ার। গত কয়েক বছরে ‘মেরা ফৌজি কলিং’, ‘বাবলু ব্যাচেলর’, ‘কনগ্রাচুলেশন’এর মতো সিনেমায় দেখেছেন দর্শকরা। তবে শরমনের কোনও ছবিই দর্শকমহলে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি।