ইদানিং বাংলা সিনেমার (Bengali Cinema) ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হয়ে উঠেছে প্রস্থেটিক মেকআপ (Prosthetic Makeup)। এই মেকআপের জাদুতে বদলে যাচ্ছে যে কারও মুখের আদল। ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি ‘গুমনামী’ ছবিতে প্রসেনজিতের নেতাজী লুক কিম্বা ‘আয় খুকু আয়’ ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রস্থেটিক মেকআপ।
এছাড়াও এই মেকআপের অন্যতম জলজ্যান্ত উদাহরণ হলেন ‘অপরাজিত’ সিনেমায় জিতু কমলের সত্যজিৎ রায় হয়ে ওঠার গল্প। কিংবা অতি সম্প্রতি ‘পদাতিক’ সিনেমার জন্য চঞ্চল চৌধুরীর মৃণাল সেনের লুক। তবে শুধু অভিনেতারাই নন এই প্রস্থেটিক মেকাপের দিক দিয়ে কোন অংশে পিছিয়ে নেই অভিনেত্রীরাও। ইতিপূর্বে ‘আগন্তুক’ সিনেমায় বৃদ্ধা সেজে চমকে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার।
অন্যদিকে আগামী ৮ই মার্চ নারী দিবসের দিন হইচই টিভিতে আসছে শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhashree Ganguly) অভিনীত ‘ইন্দুবালা ভাতের ভাতের হোটেল’ (Indubala Bhater Hotel)। এই সিরিজেও ৭৫ বছরের বৃদ্ধা সেজে একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে ইন্ডাস্ট্রিতে তো প্রবীণ অভিনেত্রীদের অভাব নেই। বিশেষ করে এক্ষেত্রে উঠে আসছে মাধবী মুখোপাধ্যায় এবং সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় কিম্বা লিলি চক্রবর্তীর মত প্রবীণ অভিনেত্রীদের নাম।
এতদিনে তাঁদেরও নিশ্চই চোখে পড়েছে বাংলা সিনেমায় বয়স্ক চরিত্রে কম বয়সী অভিনেত্রীদের অভিনয় করার বিষয়টি। তাই এ বিষয়ে তারা কি ভাবছেন তাঁরা? সম্প্রতি এবিষয়ে জানতে টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল এই দুই অভিনেত্রীর সাথে। উত্তরে খানিকটা ভিন্ন মতামত পোষণ করেই জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় এবং সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
১. মাধবী মুখোপাধ্যায় (Madhabi Mukherjee) : সমালোচনা নয় বরং প্রশংসা করেই এদিন মাধবী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি এর মধ্যে খারাপ কিছু দেখছি না। একজন ইয়ং মেয়ে যদিও বৃদ্ধার পাঠ করেন, তিনি করবেন। তাতে ক্ষতির কী আছে। এটা তো শিল্পীরও চয়েজ’। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী উদাহরণ দিয়েছেন ‘গুডবাই মিস্টার চিপস’ ছবিতে ২৭বছর বয়সী রবার্ট ডোনাটের বৃদ্ধর চরিত্রে অভিনয় করার বিষয়টি।
২. সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chatterjee) : যদিও এপ্রসঙ্গে সেভাবে কোনো মতামত পোষণ না করেই সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি আসলে এই ব্যাপারে কিছু মন্তব্য করব না। কারণ, নির্মাতাদের ইচ্ছা হয়েছে, তাঁরা একজন অল্প বয়সি অভিনেত্রীকে এই সুযোগটি দিয়েছেন। সেখানে তো কারও কিছুই বলার নেই’।