বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় সদ্য শুরু হওয়ার নতুন বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) গুলোর মধ্যে এই মুহূর্তে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল হল জি বাংলার (Zee Bangla) ইচ্ছে পুতুল (Iche Putul)। এই সিরিয়ালের নায়িকা মেঘ (Megh) তার দিদি ময়ূরীর জন্য ছোট থেকে নিজের জীবনের পরোয়া না করে সারাক্ষণ দিদির চিন্তাই করে।
ধারাবাহিকে মিষ্টি মেঘের চরিত্রে অভিনয় করছেন টেলিপাড়ার পরিচিত অভিনেত্রী তিতিক্ষা দাস। সম্প্রতি জানা গিয়েছে এই অভিনেত্রীর রয়েছে এক যমজ বোন। তার মতোই সেও অভিনয় করছে জনপ্রিয় বিনোদনমূলক চ্যানেল স্টার জলসায়। এই চ্যানেলের অত্যন্ত জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল আলতা ফড়িংয়ে রিনির চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
হুবহু মেঘের মতন দেখতে এই অভিনেত্রীর নাম নন্দিনী দত্ত (Nandini Dutta)। প্রসঙ্গত নন্দিনী কিংবা তিতিক্ষা কেউই কিন্তু বিনোদন জগতে নতুন নন। তারা দুজনেই ইতিপূর্বে কাজ করেছেন একাধিক প্রজেক্টে। একদিকে তিতিক্ষাকে ইতিপূর্বে যেমন দেখা গিয়েছে কালার্স বাংলার জয় জগন্নাথ ধারাবাহিকে মা লক্ষ্মীর চরিত্রে। তেমনি মহালয়াতেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক দেবীর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
অন্যদিকে নন্দিনীকেও ইতিপূর্বে স্টার জলসা তো বটেই এমনকি দেখা দেখা গিয়েছে জি বাংলা এবং কালার্স বাংলার মতো একাধিক বিনোদনমূলক চ্যানেল গুলিতেও।তবে এই সিরিয়ালের মতই আগেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল পার্শ্ব চরিত্রে। নন্দিনী অভিনয় করেছেন জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’তেও। এছাড়াও স্টার জলসার ‘তিতলি’ ধারাবাহিকেও দেখা গিয়েছিল এই অভিনেত্রীকে। নন্দিনী অভিনয় করেছেন কালারস বাংলার ‘বসন্ত বিলাস মেসবাড়ি’তে।
তবে শুধু বাংলা সিরিয়ালের জগতেই নয়, এই অভিনেত্রী ইতিমধ্যেই পা রেখেছেন ওয়েব সিরিজও। তবে নন্দিনী এবং তিতিক্ষা আসলেই কিন্তু নিজের বোন নন। তবে এক ঝলক তাদেরকে দেখলে যে কেউ বলবেন তারা দুজনে আসলে যমজ বোন। কিন্তু এমনটা নয় যে তিতিক্ষা এবং নন্দিনী একে অপরের যমজ বোন তো নয়ই এমনকি তারা কেউ কারও আত্মীয়ও হন না।
তবে তাদের মুখের এমন নিখুঁত মিল দেখে সম্প্রতি বিষয়টি লক্ষ্য করে একজন দর্শক সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন তার মনে হয় আলতা ফড়িংয়ের রিনি আর ইচ্ছে পুতুলের মেঘ বোধ হয় একই অভিনেত্রী। ভাইরাল ওই পোষ্টের কমেন্ট সেকশনে অনেকেই দর্শকের সাথে সহমত পোষণ করে জানিয়েছেন তাদের ওই একই কথা মনে হয়েছে বহুবার। আসলে একজনের সাথে আরেকজনের মুখের হুবহু মিল হওয়ার বিষয়টি একেবারেই নতুন নয়। ইতিপূর্বে এমনটা দেখা গিয়েছে বহুবার।