গত বছর যখন বলিউডের (Bollywood) একাধিক সুপারস্টারের ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল, তখন ইন্ডাস্ট্রির আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কার্তিক আরিয়ান (Kartik Aaryan)। বয়কটের মরসুমেও বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল তাঁর ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ (Bhool Bhulaiyaa 2)। অনেকেই বলেছিলেন, বি টাউনের আগামী সুপারস্টার তিনি। শাহরুখ-সলমনদের যোগ্য উত্তরসূরি হলেন কার্তিক।
গত বছর ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ এবং ‘ফ্রেডি’র (Freddy) সাফল্যের পর ধীরে ধীরে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের (Actor) তালিকায় স্থান করে নিচ্ছিলেন কার্তিক। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই বেশ খানিকটা ব্যকফুটে চলে গেলেন তিনি। সৌজন্যে ‘শেহজাদা’ (Shehzada)। অভিনেতার উজ্জ্বল কেরিয়ারে একটি কালো ছাপ ফেলে দিল এই ছবি।
১৭ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে কার্তিক আরিয়ান-কৃতি শ্যানন অভিনীত ‘শেহজাদা’। দক্ষিণ সুপারস্টার আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামুলো’র রিমেক এটি। অনেকদিন ধরেই সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্তিক-কৃতির ‘শেহজাদা’ নিয়ে চর্চা চলছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, ফের হয়তো একটি হিট উপহার দিতে চলেছেন ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ অভিনেতা। কিন্তু কোথায় কী! বক্স অফিসে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ল এই সিনেমা।
মুক্তির দিনই ‘শেহজাদা’কে ‘ফ্লপ’ ঘোষণা করে দিয়েছে দর্শকদের একাংশ। কার্তিকের ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ যেখানে প্রথম দিনই ১৪ কোটি টাকা আয় করেছিল, সেখানে ‘শেহজাদা’ কোনও মতে ৫-৬ কোটির টপকাতে পেরেছে। এই অঙ্ক দেখেই ছবির সাফল্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ট্রেড অ্যানালিস্টরা।
বয়কটের সিজনে সুপারহিট দেওয়ার পর কার্তিকের ‘শেহজাদা’র ব্যর্থতা দেখে সোশ্যাল মিডিয়াতেও উঠেছে নিন্দার ঝড়। কেউ লিখেছেন, ‘সাউথকে টেক্কা দিতে গিয়ে প্রথম দিনেই হোঁচট খেলেন কার্তিক’। কারোর আবার মত, ‘এই সময়ে এমন ছবি বানানো এবং তারপর আশা করা যে দর্শকরা সেটি দেখবেন, সেটিই সবচেয় বড় ভুল’।
বিভিন্ন নামী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নাকি ‘শেহজাদা’র জন্য নেওয়া পারিশ্রমিক ফিরিয়ে দিয়েছেন কার্তিক। এই সংবাদে শিলমোহর দিয়েছেন অভিনেতা নিজে। শোনা গিয়েছে, ছবির কাজে কিছু আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেই কারণে নিজের পারিশ্রমিক ফিরিয়ে ‘শেহজাদা’র প্রযোজক হয়ে যান অভিনেতা।