বলিউডের (Bollywood) জনপ্রিয় গায়কদের (Singer) নামের তালিকা যদি প্রস্তুত করা হয় তাহলে সেখানে ওপরের দিকেই থাকবে বাংলার ছেলে কুমার শানুর (Kumar Sanu) নাম। তিনি যে কত সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। কাজ করেছেন একাধিক নামী সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গে। এবার সেই কুমার শানুই ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১৩’র (Indian Idol 13) মঞ্চে গিয়ে কলকাতার (Kolkata) মেয়ে সেঁজুতি দাসের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলেন।
এই মুহূর্তে সোনি টিভিতে (Sony TV) চলছে সঙ্গীত দুনিয়ার অন্যতম সেরা রিয়্যালিটি শো (Reality show) ‘ইন্ডিয়ান আইডল’। সারা দেশের একাধিক প্রতিভাবান গায়ক-গায়িকারা সেখানে নিজেদের গায়কীর প্রদর্শন করছেন। কলকাতা থেকেও একাধিক শিল্পী রয়েছেন সেই শোয়ে। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন সেঁজুতি। সম্প্রতি তাঁকেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন কুমার শানু।
সেঁজুতির গান শোনার পর জনপ্রিয় গায়ক বলেন, ‘তোমার পারফরম্যান্স দারুণ হয়েছে। প্রত্যেকটি শব্দ স্পষ্ট ছিল। আমি এও শুনেছি তুমি মিউজিক কম্পোজ করো। ইন্ডাস্ট্রিতে হাতে গোনা কয়েকজন মহিলা মিউজিক ডিরেক্টর রয়েছেন। তাই ইন্ডাস্ট্রির তোমার মতো মিউজিক ডিরেক্টরের প্রয়োজন আছে’।
এরপরই সেঁজুতির কাছে সরাসরি কাজের সুযোগ চান কুমার শানু। গায়ক সরাসরি বলেন, ‘আমাদেরও কিন্তু গান গাওয়ার সুযোগ দিও। তোমার কম্পোজিশনে আমরা গান গাইতে চাই। যে কোনও দিন আমাদের ফোন করে ডেকে নিও’। ছোটবেলায় যার গান শুনে বড় হয়েছেন তাঁর কাছ থেকে এমন প্রশংসা পেয়ে আনন্দ বুক ভরে যায় সেঁজুতির।
কলকাতার এই প্রতিভাবান গায়িকা জানান, ছোট থেকে কুমার শানু এবং অনুরাধা পড়োয়ালের গান শুনে বড় হয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গেই তিনি গায়কের কাছ থেকে তাঁর সুরেলা কণ্ঠের সিক্রেটও জানতে চান। জবাবে ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা’ গায়ক বলেন, ‘আমি গোলা খেয়ে নিজের গলা পরিষ্কার করতাম। সেটাই আমার সুরেলা স্বরের সিক্রেট’।
‘ইন্ডিয়ান আইডল ১৩’য় এখন সেরা আটের মধ্যে খেতাব জয়ের জোর লড়াই চলছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে বাংলা থেকে সেঁজুতির পাশাপাশি বিদীপ্তা চক্রবর্তী, দেবস্মিতা রায় এবং সোনাক্ষী কর রয়েছেন। এছাড়া সেরা আটে অযোধ্যার ঋষি সিং, জম্মুর চিরাগ কোতওয়াল, অমৃতসরের নভদীপ ওয়াডালি এবং শিবম সিং রয়েছে। এবার দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত বিজেতার খেতাব কে জেতেন।