জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় সিরিয়াল যমুনা ঢাকি (Jamuna Dhaki) খ্যাত শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhatttcharya) এবং রুবেল দাস (Rubel Das) এই মুহূর্তে বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) জগতে অন্যতম জনপ্রিয় তারকা জুটি। যমুনা ঢাকি (Jamuna Dhaki) সিরিয়ালের হাত ধরেই তাঁদের পর্দার প্রেম গড়িয়েছে বাস্তবে। পর্দার সংগীত-যমুনা (Sangeet-Jamuna) জুটি অর্থাৎ রুবেল-শ্বেতার প্রেম এখন ইন্ডাস্ট্রিতে ওপেন সিক্রেট।
কোনোরকম রাখঢাক না রেখে গত বছরেই নিজেদের সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছিলেন এই জুটি। এরইমধ্যে দেখতে দেখতে এসে গিয়েছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। এই বিশেষ দিনের আগে সদ্য টিভি নাইন বাংলার সাথে খোলামেলা আড্ডায় বসেছিলেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় এই লাভ বার্ডস। সেখানেই বিয়ের পরিকল্পনা কিংবা দিনক্ষণ থেকে শুরু করে রুবেল-শ্বেতা জানালেন নিজেদের মিষ্টি প্রেমের গল্প।

অভিনেত্রীর কথায় রুবেল কে তিনি চেনেন ক্লাস সেভেন থেকে। এরপর একসাথে নাচের ক্লাসও করতেন। তবে একসময় পথ আলাদা হয়ে গিয়েছিল তাদের। রুবেল নাচের জন্য মুম্বই চলে যায়। আর শ্বেতা শুরু করেন অভিনয়। এরপর হঠাৎ করেই একসাথে সিরিয়াল করার সুযোগ আসে। সেখান থেকেই তুমুল জনপ্রিয়তা পে তাদের জুটি। সেখান থেকেই তাঁরা দুজনেই বুঝতে পারেন তাঁদের মধ্যে একটা স্পার্ক কাজ করছে। কিন্তু মজার বিষয় কবে, কিভাবে ব্যাপারটা ঘটে গেল সেকথা বুঝতে পারেননি তাঁরা নিজেরাও।
রুবেলের কথায় ‘আমার তরফ থেকে চেষ্টার কোনও ক্রটি ছিল না বিশ্বাস করুন। তবে প্রেম তো বলে হয় না। আমরা একে অপরের ছোট-ছোট বিষয় ভীষণ যত্নশীল হয়ে উঠছিলাম, একে-অপরের উপস্থিতিতে খুব ভাল থাকতাম। একদিন আমরাই আলোচনা করি, ব্যাপারটা কোন দিকে যাচ্ছে বলতো? ততদিনে বিষয়টা যে দিকে যাওয়ার, চলে গিয়েছে’।

মিষ্টি এই জুটির প্রপোজ করার ঘটনাটাও কিন্তু দারুন মজার। প্রেমদিবসের আগে এদিন ফাঁস হল সেই সিক্রেটও। কে প্রথম প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন জানতে চাওয়া হলে রুবেল বলে ওঠেন ‘আমি,আমি করেছিলাম। ইনিয়ে-বিনিয়ে তো বোঝানোর কোনও খামতি ছিল না, কিন্তু প্রেম প্রস্তাব আমারই ছিল’। সেই খুব মজার গল্প অনুরাগীদের সাথে ভাগ করে নিয়ে শ্বেতা বলেছেন ‘একবার শুটিং সেটে ছিলাম, ও হঠাৎ এসে বলল, ওপরের ঘরে যা, একটা কাগজ রাখা আছে। ওটা তোর খুব দরকারি, তাড়াতাড়ি নিয়ে আয়। আমিও গেলাম। গিয়ে দেখি, ঠিক টেবিলে একটা কাগজ রাখা। খুলে দেখি বাবু সযত্নে আমায় গোটা-গোটা অক্ষরে প্রোপোজ় করেছে। সেই কাগজটাও আমি যত্নে রেখে দিয়েছি’।

একটা সময় পর তাদের কাজের মধ্যেও তাদের এই সম্পর্কটাই ফুটে উঠত। শ্বেতার কথায় ‘পর্দায় আমাদের সেই বন্ধুত্ব, সম্পর্ক যাই-ই বলুন না কেন, জুটি হিসেবে সেটা প্রকাশ পেত। তাই-ই হয়তো সম্পর্কের গল্পটাও অনেক বেশি আবেগ দিয়ে তুলে ধরতে পারতাম’। এই সূত্র ধরেই প্রেমিকার প্রশংসা করে রুবেল বলেন ‘শ্বেতার একটা মস্ত গুণ আছে, ও কাউকে যদি পছন্দ না-ও করে, পর্দায় এমনভাবে অভিনয় করে বেরিয়ে যাবে তাঁর সঙ্গে যে, কেউ আঁচও করতে পারবে না। আমি বরাবরই যার সঙ্গে বনে না, তার সঙ্গে অভিনয়টাও খুব একটা জমে না গোছের’।