জি বাংলার সারেগামাপা (Sa Re Ga Ma Pa) খ্যাত অ্যালবার্ট কাবো (Albert Kaboo) নামটা শুনলেই সবার মনে এখন ঘুরছে একটাই কথা। তা হল শাহরুখ খানের সিনেমার বিখ্যাত ডায়লগ ‘হার কে জিতনে বালো কো বাজিগর কেহতে হে’। সারেগামাপায়ের মঞ্চে এসে কাবো প্রথমেই জানিয়েছিলেন ছোটবেলা থেকে কখনো গান শেখেননি তিনি। কিন্তু বাংলার সবচেয়ে বড় এই গানের রিয়ালিটি শোতে (Reality Show) এসে গান গেয়ে এই মুহূর্তে তিনি রাজ করছেন কোটি কোটি শ্রোতাদের মনে।
যদিও শুরুর দিন থেকেই ধারাবাহিকভাবে ভালো গান গেয়েও অন্তিম পর্বে এসে বিচারকদের বিচারে সেরার সেরা হতে পারেননি এই পাহাড়ি যুবক। ফার্স্ট রানারআপ হয়েছেন তিনি। যদিও বিচারকদের এই সিদ্ধান্ত (Judges Decission) মানতে পারেননি নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক (Controversy) দানা বেঁধেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাদের দাবি প্রতিবারের মতো এবারও অন্যায় বিচার হয়েছে সারেগামাপায়ের মঞ্চে। পরিবর্তে বিজয়ীর পালক জুড়েছে পন্ডিতজি অজয় চক্রবর্তীর ছাত্র পদ্ম পলাশ এবং অপর প্রতিযোগী অস্মিতার মুকুটে।
আর এতেই বেজায় চটেছেন সারেগামাপা এর অসংখ্য দর্শক-শ্রোতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুসছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। বিচারকদের বিচারে সেরা না হলেও জনগণের বিচারে সেরা কাবোই। ফেসবুক ভিউয়ার্স চয়েজ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের ক্ষোভেরও যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কি ভাবছেন কাবো? সম্প্রতি এবিষয়ে জানতে চেয়ে এই সময় ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল গায়কের সাথে।
জবাযে তিনি জানিয়েছেন ‘আমি কোনদিন গান শিখিনি। হৃদয় দিয়ে গান গেয়েছি। সারেগামাপাতেও একই কাজ করেছি। মন থেকে গান গেয়েছি। আর শ্রোতাদের সেই গান পছন্দ হয়েছে। এতেই আমি ধন্য’। সেই সাথে কাবোর আরও সংযোজন ‘আমি জানি আমাকে দর্শকরা খুব ভালোবাসা দিয়েছেন। আর তার ফল পেয়েছি। ফেসবুক ভিউয়ার্স চয়েজ অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। এটাই অনেক। বাকি সিদ্ধান্ত তো বিচারকরা নিয়েছেন। যথেষ্ট গুণি তাঁরা। নিশ্চয়ই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’।
কিন্তু কাবো দ্বিতীয় হওয়ায় মোটেই খুশি নন তাঁর ভক্তরা। কিন্তু কাবো নিজে খুশি তো দ্বিতীয় হয়ে? এই প্রশ্নের উত্তরে গায়ক জানিয়েছেন জি বাংলার সারেগামাপা তাঁর জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি নাকি কোনদিন ভাবেননি এতদূর আসতে পারবেন। তাই গ্রামের খুব সাধারণ একজন ছেলে হয়েও এত বড় প্ল্যাটফর্ম পেয়ে খুশি তিনি। কাবোর কথায় ‘ফাইনালের দিন ফার্স্ট রানার আপ হয়েছি এতে সত্যিই খুব খুশি আমি’।
প্রসঙ্গত দর্শকরা সকলেই জানেন সারেগামাপায় আসার আগে পর্যন্ত কোনদিন বাংলা গান গাননি কাবো। সে কথা প্রতিযোগিতা চলাকালীনই তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার খাতিরে খুব সুন্দর ভাবেই বাংলা গানও শিখেছেন এই পাহাড়ি যুবক। কাবোর নিজেই জানিয়েছেন ‘অনেক ধরনের গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছি যে ধরনের গান জানতাম না সেটাও শিখেছি যেমন বাংলা গান আমি একেবারেই গাইনি কখনো খুব ভালোবেসে গান শেখাতেন’।
তবে গোটা প্রতিযোগিতায় কাবোর পছন্দের সতীর্থ গায়ক কে? তা জানতে চাওয়া হলে কাবো জানান গায়েকির দিক থেকে সকলেই খুবই ভালো। কিন্তু তার ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ ঋদ্ধিমানকে। ঋদ্ধিমানের প্রশংসায় কাবো বলেন ‘ও ক্লাসিক্যাল সিঙ্গার,ভোপালের ঘরানা। ওর উচ্চারণ, সুর খুবই ভালো লাগত’। সেইসাথে কাবো জানান সারেগামাপা তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে। এবার নিজেকে প্রমাণ করার পালা।