দক্ষিণ ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির (South Indian industry) সুপারস্টারদের নামের তালিকায় অবশ্যই স্থান করে নেবেন পবন কল্যাণ (Pawan Kalyan)। জনপ্রিয় এই অভিনেতা যে কত সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। ১৯৯৬ সালে ডেবিউ করেছিলেন ‘মেগাস্টার’ চিরঞ্জীবীর (Chiranjeevi) ভাই। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে। নাম, যশ, খ্যাতি সঙ্গেই দু’হাতে কামিয়েছেন অর্থ। সম্প্রতি এই অভিনেতাই নিজের জীবনের এক অন্ধকার অধ্যায় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন।
কয়েকদিন আগে পবন নন্দমুরী বালকৃষ্ণর শো ‘আনস্টপেবল’এ গিয়েছিলেন। সেখানেই নিজের জীবনের এক অজানা অধ্যায় নিয়ে মুখ খোলেন। অভিনেতা জানান, তাঁর জীবনে এমন একটা পর্যায় এসেছিল যখন নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তিনি এও জানিয়েছেন, ঠিক কোন কারণে চরম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তাঁর মাথায় এসেছিল।
‘মেগাস্টার’ চিরঞ্জীবীর ভাই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে একজন। প্রায় ১৩০ কোটির সম্পত্তির মালিক পবন কল্যাণ। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন তিনি? সম্প্রতি ‘আনস্টপেবল’এ গিয়ে সেই বিষয়েই মুখ খোলেন অভিনেতা।
পবন জানান, যখন ওনার ১৭ বছর বয়স, সেই সময় প্রচণ্ড শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতেন তিনি। অভিনেতার অ্যাস্থমা ছিল। এছাড়াও তাঁর ওপর পড়াশোনার অত্যধিক চাপ ছিল। সব কিছুর মিলিত চাপ থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে মৃত্যুকে বেছে নিতে চেয়েছিলেন পবন। অভিনেতা জানান, তিনি ঠিক করেছিলেন দাদা চিরঞ্জীবীর বন্দুক দিয়েই এই কাজ করবেন তিনি।
সাউথ সুপারস্টার জানান, অ্যাস্থমার কারণে মাঝেমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হতো তাঁকে। এই কারণে প্রচণ্ড চিন্তায় থাকতেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল পড়াশোনা। সবার সঙ্গে মেলামেশাও একপ্রকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এসব বিষয় থেকে রেহাই পেতে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পবন। যদিও পরে নিজের সঙ্গে লড়াই করে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
পবন জানান, সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার পর তাঁর পড়াশোনাতেও মন বসতে শুরু করে। সেই সঙ্গে তিনি মার্শাল আর্টস এবং কর্ণাটক সঙ্গীত শেখা শুরু করেন। এসবের সাহায্যে আবার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন সাউথ সুপারস্টার।