বিনোদন জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ হলেন রাজেশ শর্মা (Rajesh Sharma)। বলিউড (Bollywood) হোক কিংবা টলিউড (Tollywood) উভয় ইন্ডাস্ট্রিতেই অবাধ যাতায়াত তাঁর। নিজের নিপুণ অভিনয় গুণে ইতিমধ্যেই বেশ নাম করেছেন ওয়েব সিরিজের (Web Series) দুনিয়াতেও। তবে জনপ্রিয় এই অভিনেতার নিজের জীবনটাও কিন্তু সিনেমার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
বেশিরভাগ বাংলা সিনেমাতেই খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে বাংলার সিনেমার এই গব্বর সিং দর্শকদের কাছে আজও টিনু গুন্ডা বলেই পরিচিত। তবে অনেকেই হয়তো জানলে অবাক হবেন আজকের এই জনপ্রিয় শিল্পী পেটের দায়ে একসময় ট্যাক্সি চালাতেন শহর কলকাতায়। এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত গোটা শহর জুড়ে বেড়াত তাঁর ট্যাক্সি।
নিজের ট্যাক্সিতে চাপিয়েই সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি অসংখ্য মানুষকে একসময় তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন অভিনেতা। পড়াশোনাতেও কম ছিলেন না কোনো অংশে। জানা যায়, স্কুলের পড়াশোনা শেষ হতেই তখনকার সময়েই নয়াদিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে স্নাতক পাশ করেছিলেন তিনি।
১৯৯৬ সালে রাজেশ প্রথম অভিনয় করেছেন হিন্দি সিনেমা ‘মাচিস’(Machis)-এ । কিন্তু অভিনয় প্রতিভা এবং যথেষ্ট ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও তখন ‘বহিরাগত’ রাজেশের জায়গা হয়নি বলিউডে। কিন্তু তার পর বলিউডে ডাক পেতে সময় লেগে গিয়েছিল ৯ বছর। তার পরেই কলকাতায় এসে বাংলা সিনেমায় অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও সেখানেও সুযোগ মেলেনি সহজে। কলকাতায় এসেও ট্যাক্সি চালিয়েছেন কলকাতার বচ্চন সিং ধাবায়।
তবে নিজের ট্যাক্সি কেনারও টাকা ছিল না তাঁর কাছে। লোকের গাড়ি ভাড়া নিয়েই চালাতেন। আর সেই টাকাতেই চলত পেট। ট্যাক্সি চালানো শেষে বিকেল ৫টায় যেতেন নাটকের রিহার্সালে। সেই থিয়েটার করতে করতেই একসময় চোখে পড়ে যান বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরিচালক অপর্ণা সেনের। এরপরেই ২০০০ সালে সুযোগ আসে অপর্ণা সেনের জনপ্রিয় সিনেমা ‘পারমিতার একদিন’এ অভিনয় করার।
তারপর ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সুযোগ এসেছে বাংলা সিনেমায়। বেশিরভাগ বাংলা সিনেমাতেই খলনায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘প্রতিবাদ’ সিনেমায় টিনু গুন্ডা-র চরিত্রে অভিনয় করে পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে বিদ্যা বালনের ছবি ‘পরিণীতা’ দিয়েই আবার কামব্যাক করেন বলিউডে।