স্টার জলসার পর্দায় ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela) ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছে খুব বেশিদিন না হলেও ইতিমধ্যেই ডোডোর (Dodo) চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন অভিনেতা অর্পণ ঘোষাল (Arpan Ghoshal)। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি হয়ে গিয়েছেন বাংলার নতুন ক্রাশ। ডোডোর চরিত্রে তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় মন ছুঁয়ে গিয়েছে দর্শকদের। সেই সঙ্গেই অভিনেতার ‘পাশের বাড়ির ছেলে’র মতো লুকসও দারুণ পছন্দ হয়েছে তাঁদের।
‘মেয়েবেলা’ ধারাবাহিকের নায়ক ডোডোর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অর্পণকে। অপরদিকে নায়িকার চরিত্রে দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী স্বীকৃতি মজুমদারকে। এছাড়াও ধারাবাহিকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী। প্রোমো প্রকাশ্যে আসার পর থেকে দর্শকরা সিরিয়ালটি দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। সম্প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রত্যেকে।
স্টার জলসার এই নতুন ধারাবাহিকের নায়িকা স্বীকৃতিকে দর্শকরা আগেও একই চ্যানেলে দেখেছেন। ‘খেলাঘর’ ধারাবাহিকের নায়িকা পূর্ণার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনিই। তবে নায়ক ডোডো সেই অর্থে পরিচিত মুখ নন। যদিও এর আগে কালার্স বাংলার ‘বসন্ত বিলাস মেস বাড়ি’তে অভিনয় করেছিলেন তিনি। আর বলাই বাহুল্য, স্টারের পর্দায় এসে একেবারে বাজিমাত করেছেন অভিনেতা।
মৌ-ডোডোর জুটি প্রথম থেকে দারুণ দর্শকদের। আলাদা করে নজর কেড়েছে অর্পণের অভিনয়। ‘মেয়েবেলা’র নিয়মিত দর্শকরা জানেন, মিত্র বাড়ির মেজ ছেলের বৌ বীথির (রূপা গাঙ্গুলী) সন্তান হলেন ডোডো। অপরদিকে নায়িকা মৌ হল বীথির ছোটবেলার বন্ধুর মেয়ে। যদিও কোনও কারণের জন্য বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। যদিও মৌয়ের বাবা-মা কেউই নেই, সে তাঁর মাসির বাড়িতে থাকে।
মৌয়ের মায়ের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের কারণেই মৌকে একেবারে পছন্দ করে না বীথি। সর্বদা ভাবে সেও হয়তো তাঁর মায়ের মতোই তাঁকে ঠকাবে। ওদিকে মৌ আবার সারাক্ষণ নিজের মেসোমশাইয়ের ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকে। এই অবস্থায় মায়ের পছন্দ না হলেও মৌয়ের ভালোমন্দে তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করে ডোডো।
ধারাবাহিকটি শুরুর আগে অনেকেই অর্পণকে দেখে বলেছিলেন, তাঁকে মানাচ্ছে না। কারণ সে নাকি নায়কদের মতো হ্যান্ডসাম কিংবা স্মার্ট নয়। তবে ধারাবাহিক শুরুর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সেই ধারণা বদলে গিয়েছে। এখন অনেকেই বলছেন, একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের চরিত্রে দারুণ মানিয়েছে অর্পণকে। পাশাপাশি তাঁর দুর্দান্ত অভিনয়েও মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন প্রত্যেকে। সব মিলিয়ে, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ‘মেয়েবেলা’র ডোডো হয়ে গিয়েছেন বাংলার নতুন ক্রাশ।