বাংলার তো বটেই, গোটা দেশের গর্ব মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সারা বিশ্বে অসংখ্য অনুরাগী রয়েছে তাঁর। বর্ষীয়ান এই অভিনেতার (Actor) অভিনয় দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গাই নেই। দশকের পর দশক ধরে দর্শকদের মনে রাজত্ব করছেন তিনি। এই বঙ্গ তনয়ের প্রতিভা এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে মাথা নত করেছে সফলতা। এবার সেই মিঠুনই বিদেশ থেকে বড় সম্মান পেলেন।
এমনিতেই মাসখানেক ধরে বাংলার মানুষদের কাছে চর্চার ‘হট টপিক’ ‘মহাগুরু’। ‘প্রজাপতি’ (Projapoti) বিতর্কের পর থেকে তাঁকে নিয়ে চর্চা থামার নামই নিচ্ছে না। কলকাতার নন্দনে মিঠুন-দেবের ছবি শো না পাওয়ার পর থেকে যে আলোচনা শুরু হয়েছিল, তার রেশ এখনও কাটেনি। নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দারুণ ব্যবসা করেছে ‘প্রজাপতি’।
এই ‘প্রজাপতি’ প্রসঙ্গেই রাজ্যের শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ নিশানা করেছিলেন মিঠুনকে। নিজের রাজ্যে, নিজের শহরে এমন ব্যবহার পেলে কেমন অনুভূতি হয় বর্ষীয়ান অভিনেতার? সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই বিষয়েই মুখ খোলেন তিনি।
‘মহাগুরু’র কথায়, এই বিষয়টি তাঁর কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেই সঙ্গেই জানান, কলকাতায় ডাক না পেলেও সাংহাই থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তিনি। সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব নাকি অভিনেতাকে ‘গেস্ট অফ অনার’ সম্মানে ভূষিতও করতে চেয়েছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে সেখানে যেতে পারেননি তিনি।
শুধু তাই নয়, মিঠুন এরপর একটি অনুষ্ঠানের চিঠি দেখিয়ে বলেন, ১৯৮৫ সালে ‘দ্য অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি মজলিশ এশিয়া সোসাইটি’ থেকে সম্মানিত করা হয় তাঁকে। সেই সঙ্গেই অভিনেতা স্মরণ করিয়ে দেন, সেখানকার সম্মান টাকা দিয়ে কেনা যায় না। তবে এত কিছুর পরেও কিন্তু নিজের রাজ্য রাংলা ব্রাত্য করে দেওয়ায় অভিনেতার গলা থেকে ঝরছিল অভিমানের সুর।
প্রসঙ্গত, নন্দনে শো না পেলেও বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করেছে মিঠুন-দেব অভিনীত ‘প্রজাপতি’। বাবা-ছেলের মিষ্টি রসায়নের এই ছবি মন ছুঁয়ে গিয়েছে দর্শকদের। বক্স অফিসে ভেঙেছে একের পর এক রেকর্ড। নিন্দুকদের কটাক্ষের জবাব দিয়ে জিতে নিয়েছে একাধিক পুরস্কার ও সম্মান।