শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) নামটা সকলেরই কাছেই বেশ পরিচিত। ব্যস্ত জীবনের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও দারুন অ্যাক্টিভ থাকেন তিনি। সামাজিক হোক কিংবা রাজনৈতিক যে কোনো বিষয় নিয়েই মন্তব্য করতে দু’বার ভাবেন না অভিনেত্রী। শ্রীলেখা মানেই বরাবরই স্রোতের বিপরীতে হাঁটা একজন মানুষ।
বরাবরই জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত চুটিয়ে উপভোগ করতে ভালোবাসেন অভিনেত্রী। এতদিনে সকলেই জেনে গিয়েছেন রাজনৈতিক ভাবে শ্রীলেখা বামপন্থী চিন্তা ভাবনায় বিশ্বাসী। তাই মাঝে মধ্যেই রাজ্যের শাসক দলের বিরোধিতাও করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। যার জেরে রাজ্যের শাসক দলের অনেকেরই রোষানলেও পড়তে হয় অভিনেত্রীকে।
তবে বরাবরই কারও কোনোরকম সমালোচনাই গায়ে মাখেন না অভিনেত্রী। সম্প্রতি অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাতেও হাত পাকিয়েছেন শ্রীলেখা। সম্প্রতি নিজের পরিচালিত সেই শর্ট ফিল্ম ‘এবং ছাদ’-এর স্ক্রিনিংয়ের জন্য বাংলাদেশের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেযোগ দিয়েছিলেন শ্রীলেখা। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য শ্রীলেখার পশুপ্রেমের কথা অজানা নয় কারও কাছেই। এমনকি অভিনেত্রীর বাড়িতেও রয়েছে বেশ কয়েকজন চারপেয়ে। সেখানেই পশুপ্রেমী শ্রীলেখা জানান, তিনি মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। এখন তাঁর বাড়িতে মাংস আসে শুধু তাঁর চারপেয়ে সন্তানদের জন্য। এরপরেই শ্রীলেখার সংযোজন, ‘আমি ন্যাকামি করে বলছি না, আজকাল বেসিনের মধ্যে পিঁপড়ে থাকলে যদি আমি ভুল করে কল খুলে ফেলি তাহলে পিঁপড়কে সরি সরি বলতে থাকি। আসলে প্রাণীহত্যাটা এখন আর পারি না। আমি কিন্তু একটা সময় খুব ভালো মটন রান্না করতাম। আমার মেয়ে মাছ, মাংস, ডিম কিছুই মুখে দেয় না।’
এরপরেই শ্রীলেখার মাংস না খাওয়ার মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় তুমুল ট্রোলিং। কেউ কেউ তো কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করতেও ছাড়েননি শ্রীলেখাকে। এমনই একজন ট্রোলার শ্রীলেখাকে ট্যাগ করে লেখেন ‘কচি কচি ছেলেদের মাথা চিবিয়ে খাওয়া যার নেশা, শুধু শুধু মাংস খাওয়া তার কাছে বিলাসিতা মাত্র, তাই তো কমরেড শ্রীলেখা মিত্র?’ জনৈক ওই নেটিজেনের পোস্ট চোখে পড়তেই তার উত্তর দিতেও দুবার ভাবেননি অভিনেত্রী। তাই এদিন এই পোস্টের স্ক্রিন শট শেয়ার করে শ্রীলেখা লেখেন- ‘দিদির চামচারা কি শিক্ষিত তাই না? কু’। প্রসঙ্গত শ্রীলেখার এই মন্ত্যব্যের ক্ষেত্রে একথা বলাই যায় ‘সমঝদারো কে লিয়ে ইশারা হি কাফি হত্যা হ্যায়’।