বলিউডের (Bollywood) ইতিহাসে হাতে গোনা কয়েকজন ভিলেনই রয়েছেন, যাদের দেখলে মাথা গরম হয়ে যায় দর্শকদের। এমনই একজন ভিলেন হলেন ড্যানি ডেনজোংপা (Danny Denzongpa)। প্রতিভাবান এই অভিনেতা খলচরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে কোটি কোটি মানুষের মন জয় করেছেন। একাধিক ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। একটা সময় ছিল যখন ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির ভিলেনদের তালিকায় থাকত ড্যানির নাম।
১৯৭১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মেরে আপনে’ ছবির মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন ড্যানি। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে। অভিনেতাকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছে ‘উঁচাই’ ছবিতে। আজকের প্রতিবেদনে বলিউডের এই নামী ভিলেন এবং সুপারস্টার সলমন খানের (Salman Khan) একটি অজানা ঘটনা তুলে ধরা হল, যা হয়তো অনেকেই জানেন না।
ভাইজান যখন বলিউডে পা রেখেছিলেন, সেই সময় ড্যানি একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। সলমনের সিনিয়র ছিলেন তিনি। কিন্তু সিনিয়র হলেও সিনেমার সেটে যাবতীয় নিয়মকানুন মেনে চলতেন তিনি। এই দুই তারকা একসঙ্গে ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সনম বেওয়াফা’য় কাজ করেছিলেন।
মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এই ছবিতে কাজ করার সময়ই ড্যানি এবং সলমনের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল। আর সেই জন্যই পরবর্তী ২৩ বছর একসঙ্গে কাজ করেননি দুই তারকা। শোনা যায়, ‘সনম বেওয়াফা’র শ্যুটিংয়ের সময় ড্যানি সঠিক সময়ে সেটে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু সলমন প্রচণ্ড দেরি করছিলেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর সলমন যখন এসে পৌঁছন, তখন তাঁকে নাকি বকেছিলেন ড্যানি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেটের মধ্যে উপস্থিত সকলের সামনে সলমনকে কথা শুনিয়েছিলেন ড্যানি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর রাগ কমেনি। আর সেই জন্যই প্রায় ২৩ বছর ভাইজানের সঙ্গে কাজ করেননি তিনি। সলমন ছবিতে আছে শুনলেই সেই ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেন তিনি।
শোনা যায়, ড্যানি এমন একজন মানুষ যিনি নিজের শর্তে কাজ করতে ভালোবাসতেন। সিনেমা নির্বাচনের এর অন্যথা হতো না। টানা ২৩ বছর সলমনের থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখার পর ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘জয় হো’তে ফের একসঙ্গে কাজ করেন ভাইজান এবং ড্যানি। ছবিটি বক্স অফিসে খুব একটা সফল না হলেও, সলমন এবং ড্যানির সম্পর্কের উন্নতি হয়েছিল।