সাম্প্রতিক অতীতে জি বাংলায় (Zee Bangla) একাধিক নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছে। এমনই একটি সিরিয়াল হল ‘রাঙা বউ’ (Ranga Bou)। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই ফের একবার পর্দায় কামব্যাক হয়েছে ‘ত্রিনয়নী’ জুটি অর্থাৎ গৌরব রায় চৌধুরী এবং শ্রুতি দাসের। গ্রামের এক সাধাসিধে মেয়ে এবং শহরের এক উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলের কাহিনী দেখানো হচ্ছে এই সিরিয়ালে (Bengali serial)। পাখি এবং কুশের গল্প শুরু থেকেই দর্শকদের বেশ পছন্দের।
‘রাঙা বউ’য়ের নিয়মিত দর্শকরা জানেন, উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে কুশ অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ। তবে তাঁর ভুলে যাওয়ার একটি রোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই দেখানো হয়েছে নায়িকার পাখির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছে সে। তবে বিয়ে হয়ে গেলেও কুশের রোগের সম্বন্ধে এখনও কিছু জানে না পাখি। গ্রামের সরল সাধাসিধে মেয়ে আপাতত শ্বশুর বাড়িতে এসে রোজ রূপ নিয়ে খোঁটা শুনছে।
শুধুমাত্র খোঁটা দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি কুশের বাড়ির কিছু সদস্যরা। অনেকে পাখিকে নানানভাবে বিপদে ফেলার চেষ্টাও করছে। যদিও এখনও পর্যন্ত নিজের বুদ্ধি ব্যবহার করে সকল কঠিন পরিস্থিতি থেকেই বেরিয়ে আসতে পেরেছে সে। ‘রাঙা বউ’য়ের আগের পর্বে দেখানো হয়েছে, ভাত কাপড়ের অনুষ্ঠানে পাখিকে যাতে পার্লারের লোকেরা খারাপ সাজিয়ে দেয় তার চক্রান্ত করছে কুশের সোনা বৌদি এবং রাঙা বৌদি।
এবার ধারাবাহিকের আসন্ন পর্বে দেখানো হবে, রাঙা বৌদি এবং সোনা বৌদির চক্রান্ত সফল হবে। পার্লারের মেয়েরা সত্যিই পাখিকে খুব বাজে সাজিয়ে দেবে। সাজানো হয়ে যাওয়ার পর পাখি যখন নিজেকে দেখতে চাইবে, তখন দুই বৌদি মিলে তাঁকে বাধা দেবে।
এরপরই মন খারাপ করে পাখি সেখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে চলে যাওয়ার সময় পাখির চোখ পড়ে আয়নার ওপর। সেখানে নিজের মুখ দেখামাত্রই ’না’ বলে চিৎকার করে ওঠে সে। এবার দেখার রাঙা বৌদি এবং সোনা বৌদির এই চক্রান্ত থেকে পাখি কীভাবে নিজেকে বাঁচায়!
অপরদিকে আবার বৌভাতের রাতে পাখিকে খারাপ সাজানোর ট্র্যাক দেখানোয় দর্শকদের একাংশ ‘রাঙা বউ’য়ের তুলনা ‘এক্কা দোক্কা’র সঙ্গে করতে শুরু করেছেন। কারণ সেখানেও দেখানো হয়েছিল, বৌভাতের রাতে রাধিকাকে বিশ্রী সাজিয়ে দিয়েছিল পোখরাজের বাড়ির লোকেরা। অনেকেই তাই ‘রাঙা বউ’এর ট্র্যাক দেখে ‘কপি’ করার অভিযোগ তুলেছে।