এই মুহূর্তে যদি দেশের সেরা গায়কের (Best Singher) নামের তালিকা তৈরি করা হয়, তাহলে ওপরের দিকেই থাকবে বঙ্গ তনয় অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) নাম। নিজের দুর্দান্ত গায়কীর মাধ্যমে কোটি কোটি শ্রোতার মন জিতে নিয়েছেন তিনি। খ্যাতির চূড়ায় বাস এখন অরিজিৎ’এর। তবে এত সফল হলেও ছিটেফোঁটা অহংকার নেই গায়কের মধ্যে। সম্প্রতি নিজের দাদার একাধিক অজানা কাহিনী তুলে ধরেছেন বোন (Arijit Singh sister Amrita Singh) অমৃতা সিং।
অনেকেই হয়তো জানেন না, অরিজিৎ’এর মতোই তাঁর বোন অমৃতাও গানবাজনার সঙ্গেই যুক্ত। বেশ কয়েকবছর মুম্বইয়ে ছিলেন তিনি। এখন অবশ্য পাকাপাকিভাবে কলকাতায় থাকেন। ইতিমধ্যেই দাদার সঙ্গে দেশ-বিদেশের নানান কনসার্টে গান গেয়েছেন অমৃতা (Amrita Singh)।
অবশ্য শুধুমাত্র কনসার্টেই নয়, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ছবি ‘বিসমিল্লাহ’তেও গেয়েছেন অরিজিৎ’এর বোন। ‘ইতি মেমোরিজ’সহ বেশ কিছু ওয়েব সিরিজেও গেয়েছেন তিনি। দাদা গানের দুনিয়ায় এত সফল, এটা কি সুবিধা নাকি অসুবিধা অমৃতার কাছে? সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের তরফ থেকে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তাঁর সামনে। সেই সাক্ষাৎকারেই নিজের এবং দাদার একাধিক অজানা কাহিনী তুলে ধরেন তিনি।
দাদা এত সফল হলেও অমৃতা সেই পরিচিতি খাটিয়ে বাড়তি সুযোগ নেওয়ার বিরোধী। গায়িকার কথায়, ‘দাদা আমায় আগেই বলে দিয়েছিল, তোমার নিজের পথচলা একান্তই তোমার নিজের হবে। আমায় নেওয়ার কথা কোনও সঙ্গীত পরিচালককে বলেনি। তবে হ্যাঁ, গান নিয়ে আমাদের কথা হয়, অনেক কিছু শিখি’।
অরিজিৎ’এর বোন হওয়ার যে কোনও সুবিধাই নেই তা কিন্তু নয়। অমৃতা এরপর বলেন, জনপ্রিয় দাদার বোন হওয়ায় কী কী সুবিধা পেয়েছেন তিনি। গায়িকার কথায়, ‘কৌশিকী চক্রবর্তীর মতো শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে তালিম নেওয়ার সুযোগ দাদার জন্যই পেয়েছি। গুণী মানুষদের সঙ্গ পেয়েছি। আর বাড়তি সুবিধার কথা বললে, আমায় দাদার মতো কষ্ট করতে হয়নি। আমার পথটা অনেক মসৃণ ছিল। দাদা রিয়্যালিটি শোয়ের পর মুম্বইয়ে অনেকটা সময় সঙ্গীত পরিচালক প্রীতমের সঙ্গে কাজ করেছে। দাদার পরিশ্রমটা দেখেছি। বাড়িতে শুধু ঘুমোতে আসত। আমায় এত পরিশ্রম করতে হয়নি’।
বঙ্গ তনয় অরিজিৎ এমনিতে প্রচণ্ড শান্ত প্রকৃতির মানুষ, তবে ক্যামেরা ঘিরে ধরলে মাঝেমধ্যে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বোনও কি কখনও বকা খেয়েছেন? অমৃতার উত্তর, ‘দাদার আসলে ভিড় অপছন্দ। আর ও কোথাও গেলে লোকে ফোন নিয়ে চলে আসে, সেটা একেবারেই পছন্দ নয়। আমরা তো একসঙ্গে বড় হয়েছি। তবে গানে যদি কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে তাহলে দাদার কাছে আমি মার পর্যন্ত খেয়েছি’।
দাদা-বোন দু’জনেই সঙ্গীত দুনিয়ার মানুষ। একজনের এত খ্যাতি বলে কি তুলনা চলে আসে? অরিজিৎ’এর বোন বলেন, ‘দাদা যে বিখ্যাত হবে আমরা তা জানতাম। মা সর্বদা বলত ওঁর সারা বিশ্বজোড়া নাম হবে। আমরা জানতাম যে এমনটা হবে’। জানিয়ে রাখি, অরিজিৎ’এর মতোই তাঁর বোন অমৃতার কেরিয়ারও শুরু রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চ থেকে। তবে গায়িকা জানান, দাদার মতো ছোট থেকে নয়, তিনি গানের চর্চা শুরু করেছেন অনেক দেরিতে। এখন অমৃতার একটাই ইচ্ছে, দর্শকদের ভালো ভালো গান উপহার দেওয়া।