গত বছরের শেষেই বাংলার বিনোদন দুনিয়ায় নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। টানা ২০ দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে লড়াই করার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অভিনেত্রী। এরপর থেকেই তাঁর প্রেমিক তথা অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীকে (Sabyasachi Chowdhury) নিয়ে প্রচণ্ড চিন্তায় পড়েছিলেন সকলে।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ অভিনেতা। সব্যসাচী কেমন আছেন তা কেউই জানতে পারছিলেন না। পরে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কাছের মানুষকে হারিয়ে কষ্ট পেলেও, সেই কষ্ট কারোর সঙ্গে ভাগ করছেন না অভিনেতা। নিজের মধ্যেই সমস্তটা চেপে রেখেছেন তিনি।
তবে সময় কিছুটা এগিয়েছে। দেখতে দেখতে ঐন্দ্রিলার মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২ মাস হতে চলল। সব্যসাচীও শীঘ্রই পর্দায় ফিরছেন। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর আগামী ধারাবাহিক ‘রামপ্রসাদ’এর প্রোমো। বেশিরভাগ দর্শকরা অভিনেতাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেও অনেকে দাবি করছেন, ঐন্দ্রিলাকে হারানোর কষ্ট ভুলে গিয়েছেন অভিনেতা! সম্প্রতি টিভি৯ বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন অভিনেতা।
কাছের মানুষকে হারানোর পর থেকে সব্যসাচী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও বিশেষ যোগাযোগ রাখছিলেন না। তবে এবার অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। ঐন্দ্রিলার শোক ভুলে যাওয়া প্রসঙ্গে কথা বলার সময় পর্দার ‘রামপ্রসাদ’ বলেন, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে নেউ। তাই কে কোথায় কী বলছেন আমি জানি না। কিছু দেখি না। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রোমো পাঠিয়েছিল, সেটাই দেখেই ব্যস, এর বাইরে আমি সত্যি জানি না দর্শকরা ভালোবেসেছেন কিনা, তাঁদের পছন্দ হয়েছে কিনা…’।
সব্যসাচীর সংযোজন, ‘যাদের মনে হচ্ছে আমি শোক ভুলে কামব্যাক করছি… আমি রিটায়ার করে তো কোথাও চলে যাইনি যে সেখান থেকে ফিরে আসব। তারাপীঠ শেষের পর আমি নিজেই বলেছিলেন কয়েকদিনের বিরতি নিয়ে ফের শুরু করব। সেটা হয়নি কয়েক মাস পিছিয়েছে’।
ঐন্দ্রিলার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সব্যসাচী যেভাবে তাঁর পাশে থেকেছেন তা দেখে অনেকেই তাঁকে ‘শ্রেষ্ঠ প্রেমিক’ আখ্যা দিয়েছেন। অভিনেতা নিজে এই বিষয়ে কী বলছেন? পর্দার ‘বামাক্ষ্যাপা’র কথায়, ‘আমি খুব সাধারণ ছেলে, আমার বিশ্বাস আমি যেটা করেছি সেটা খুব সাধারণ। মানুষ কিছু সাধারণ জিনিসকে বড় করে তোলে, আবার সেগুলিকে পাতালেও পাঠিয়ে দেয়। প্রিয়জনের অসুস্থতায় মানুষ তাঁর পাশে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ঐন্দ্রিলার কথা ছেড়ে দিলাম, যদি আমার মায়ের কিছু হতো আমার পাশে থাকতো। আমি সেটা দেখেই বড় হয়েছি। আমি বুঝতে পারি না একটা সাধারণ জিনিসকে এত বড়, জটিল করে কেন দেখা হয়’।